ডিবিএন ডেস্কঃ দেশে মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার থেকে বেড়ে এখন ২৫৯১ ডলার হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে চূড়ান্ত মোট দেশজ উৎপাদন ৪১৬ বিলিয়ন ডলার এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একনেক সভায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “২০২০-২১ অর্থবছরে চূড়ান্ত জিডিপি ৪১৬ বিলিয়ন ডলার। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। আর চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার থেকে বেড়ে ২৫৯১ ডলার হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন হয়েছে শতকরা ৩ দশমিক ১৭ ভাগ, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ২ দশমিক ৩৭ ভাগ । এছাড়া চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে শস্য উপখাতে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, পশুপালন উপখাতে ২.৯৪ শতাংশ, বন উপখাতে ৪.৯৪ শতাংশ এবং মৎস্য খাতে ৪.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০ দশমিক ২৯ ভাগ, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫ দশমিক ৯৯ ভাগ। চূড়ান্ত হিসাবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিদ্যুৎ খাতে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং নির্মাণ খাতে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাবে সেবা খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।”
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে, রেমিটেন্স বেড়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। এসব কারণেই মূলত অর্থনীতির আকার বেড়েছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ওমিক্রনের সময়ও পিছিয়ে নেই। আমাদের রপ্তানি আয় বেড়েছে। ব্যক্তি বিনিয়োগ বেড়েছে ১৪ শতাংশ। রেভিনিউ ১৪ শতাংশ বেড়েছে। কাজেই এসব কারণেই মোট জিডিপির পরিমাণ বেড়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণে আমাদের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০২১ সালের নভেম্বরে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ২৫৫৪ ডলারে দাঁড়িয়েছিল বলে জানায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।