বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি শিল্পে কম্প্লায়েন্স নিশ্চিতে, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। আজ মঙ্গলবার ইউএস ট্রেড শো বিষয়ে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
শ্রমিক অধিকার ও কর্মপরিবেশের নানা অভিযোগ এনে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। জিএসপি বাতিলের পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স এবং ন্যাশনাল ট্রাইপার্টিড প্ল্যান অব অ্যাকশনের আওতায় শুরু হয় তৈরি পোশাক শিল্পে নানা সংস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে জিএসপি ফিরে পেতে অ্যাকশন প্ল্যানের শর্তগুলো পুরোপুরি পূরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।
রবার্ট মিলার বলেন, জিএসপি বিষয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা চাই বাংলাদেশ জিএসপি ফিরে পাক। কিন্তু এজন্য শ্রমিকদের অধিকারের শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বেশ কিছু খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এজন্য ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান জটিলতা নিরসনের তাগিদ দেন তিনি।
রবার্ট মিলার আরো বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিচ্ছি আমরা। কিন্তু বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশকে। বর্তমানে এই বিষয়টি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে জরুরি।
আগামী ১৪ মার্চ রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে তিনদিনের ইউএস ট্রেড শো শুরু হচ্ছে। যাতে নানা পণ্য ও সেবা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।