আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গ্রিস সীমান্তবর্তী তুরস্কের ছোট শহর ইপসালা থেকে ১২ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির সবাই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে মারা গেছে। তুরস্কের যে শহর থেকে এসব অভিবাসন প্রত্যাশী ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই শহরকে বিশ্বের বহুদেশের অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ ইউরোপে যাওয়ার রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
নিহত ব্যক্তিদের গায়ে সামান্যই কাপড়-চোপড় ছিল। তাদের লাশ উদ্ধারের পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সইলু বলেছেন, গ্রিসের সীমান্তরক্ষীরা এসব অভিবাসন প্রত্যাশীকে জোর করে তুরস্কের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সইলু আরো বলেন, গ্রিসের সীমান্তরক্ষীরা মোট ২২ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে তুরস্কের ভেতরে পাঠায় যার মধ্যে ১২ জন মারা গেছে এবং তাদের তিনজনের গায়ে শুধুমাত্র একটি করে টি-শার্ট ছিল। জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ওই এলাকায় তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে।
তুরস্কের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ বাকি ১০ জনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এবং এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অন্যদিকে গ্রিসের অভিবাসন বিষয়কমন্ত্রী নোতিশ মিতারাসি তুর্কি মন্ত্রীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তুরস্কের ইপসালা শহরে এসব অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। তার দেশের সীমান্তরক্ষীরা এ ধরনের কোনো ব্যক্তিকে তুরস্কের দিকে ঠেলে পাঠায়নি বলেও তিনি দাবি করেন।