মোঃ জহির হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে স্বামীর বিরুদ্ধে এক গৃহবধুকে বিষ পান করিয়ে হত্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গৃহবধু রুমা আক্তার(২১) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) মারা যায়। এই অভিযোগে নিহত রুমার স্বামী সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে রায়পুর থানা পুলিশ।
নিহত রুমা কেরোয়া গ্রামের তজমুদ্দিন মিঝি বাড়ির মোঃ ইউসুফের জেষ্ঠ্য কন্যা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ১০ বছর পূর্বে একই বাড়ির মৃত সেকান্দরের পুত্র অভিযুক্ত মোঃ সোহেল(৩৫) এর সহিত রুমার প্রেমের বিবাহ হয়। রুমার স্বামী সোহেলের বিরুদ্ধে মাদক, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের রিয়াদ(৮) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর কিছুদিন শান্তিতে থাকার পর যৌতুকের দাবীতে রুমাকে প্রায়ই মারধর করতো সোহেল। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারী রবিবার রাত ৮ টায় একা ঘরে রুমাকে পেয়ে সোহেল ঘরে রাখা কিটনাশক( বিষ) মুখে ঢেলে দেয় বলে তার পরিবার অভিযোগ করে। রুমার চিৎকারে তার বাবার ঘর থেকে লোকজন এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়, রুমার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রুমার মা শুকুরি বেগম জানান, আমার মেয়ের কাছ থেকে যৌতুকের দাবী পূরন না হওয়ায়, সোহেলের পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় বিষ পান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আমি এর বিচার চাই।রুমার ভাই হারুন বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যা করেছে।
অভিযুক্ত সোহেল গ্রেপ্তারের পূর্বে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী বেশীর ভাগ সময় তার বাবার ঘরে থাকে, চার দিন পর মার ঘরে আসলে আমি তাকে ভাত খাইতে বলি, ভাত না খাওয়ায় পরে আমি তাকে বিষ খাইতে বলি, আমার ফসলী জমিতে কিটনাশক চিটানোর জন্য বিষের বোতল সংরক্ষিত ছিলো। তাৎক্ষণিক সে বোতল থেকে সবগুলো কিটনাশক খেয়ে ফেলে অজ্ঞান হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর থানার ডিউটি অফিসার আলআমিন মুঠোফোনে বলেন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।