২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙ্গে সোমবার (১১ মার্চ) হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এ নিয়ে শেষ মুহূর্তে জোর প্রচারণা চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ১২ টায় শেষ হয় প্রচারণা। একদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা অন্যদিকে ভোটের অধিকার নিশ্চিত হওয়ার আশাবাদ ছিলো প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রার্থীদের মুখে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাত ১২ টার কিছু আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে উৎসবের আমেজে ছাত্রলীগের শোভন-রব্বানী-সাদ্দাম প্যানেলের শিক্ষার্থীরা চালাচ্ছিলেন শেষ মুহূর্তের প্রচারণা।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ঠিক রাখতে তৎপর দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনীকে।
এদিকে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র আর বাম জোটের প্রার্থীদের কাছে শোনা গেলো নানা অভিযোগের কথা।
বাম জোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, একজন ভোটারও যদি ভোট দিতে এসে ফেরত যায় তবে তা হবে প্রশাসনের ব্যর্থতা।
স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী আসিফুর রহমান বলেন, সকল শিক্ষার্থীর মতামতের ভিত্তিতে যদি প্রার্থীরা নির্বাচিত হন তবেই ডাকসু সফল হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু বলেন, ডাকসুকে বলা হয় দ্বিতীয় সংসদ। সবাই চায় এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভালোমন্দের দায়িত্ব তার শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে যাওয়া শুরু হোক।
২৮ বছর পর সোমবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভিপি পদে ১১ জন, জিএস পদে ১৪ জন আর এজিএস পদে লড়ছেন ১৩ জন প্রার্থী।