আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কাজাখস্তানে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২২৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৯ জন সদস্য রয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দেশটির প্রোসিকিউটর কার্যালয়ের ফৌজদারি মামলার প্রধান সেরিক শালাবায়েভ এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র ‘দুর্বৃত্তরা’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, সহিংসতার পর অনন্ত ২ হাজার ৬০০ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৬৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেশটির স্বাধীনতার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
কাজাখস্তানের কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বহিরাগত ‘সন্ত্রাসী’। তারা বৃহত্তম শহর আলমাতিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড চালায়।
এর আগে চলমান অস্থিরতা নিরসনে সিএসটিও-ভুক্ত (কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন) দেশগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ। এরপরই প্রতিবেশী দেশে সৈন্য পাঠানোর পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশটিতে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের জেরে গত ৫ জানুয়ারি কাজাখস্তানে সরকারের পতন ঘটে। প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সূত্র: আল-জাজিরা, ভয়েস অব আমেরিকা।