আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় চীন সরকার শুরু থেকেই জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোয়ারেন্টিন, লকডাউনসহ কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়ার পরও সংক্রমণ আয়ত্তে না আসায় এবার নতুন পথ বেছে নিল চীন সরকার। কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তিদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখা শুরু করেছে চীন সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাক্সে বন্দির একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
Millions of chinese people are living in covid quarantine camps now!
2022/1/9 pic.twitter.com/wO1cekQhps
— Songpinganq (@songpinganq) January 9, 2022
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তি বা তাদের সংস্পর্শে আসা সকলকে ধাতব বাক্সের মতো ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যম মেইল জানায়, সামনের মাসেই দেশটি শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজন করতে যাওয়া সত্ত্বেও করোনাবিষয়ক কঠোর অবস্থান বহাল রেখেছে দেশটি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এসেছে এমন সন্দেহে দেশটি লাখ লাখ মানুষকে কোয়ারেন্টিন করেছে। দেশটির কোনো স্থানের একজন ব্যক্তিও যদি করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে ওই এলাকার অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও বয়স্কদের ধরে এনে বাক্সগুলোতে দুই সপ্তাহ থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেখানে রয়েছে একটি খাট, পানির বোতল ও একটি শৌচাগার।
মধ্য চীনের শাংচি প্রদেশের জিআন শহরে খোলা হয়েছে এই বাক্সের ক্যাম্প। যা নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে।সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জিয়ান শহরের প্রায় দু’কোটি বাসিন্দাকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। খাবার কিনতে বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা জানায়, মধ্যরাতে তাদের জানানো হয়েছে, এখনই তাদের ঘর ছাড়তে হবে ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতে হবে।
চীনে করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকে ট্রেস অ্যান্ড ট্র্যাক নামে একটি অ্যাপ চালু করে দেশটি। প্রতিটি নাগরিকের জন্য ওই অ্যাপটি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করে দেয় চীন। মূলত এই অ্যাপের সাহায্যেই করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করছে সরকার।