নূর মোহাম্মদ সম্রাট, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৫) মারা গেছেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষন ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ।
উল্লেখ্য, আগে গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মালগ্রাম ডাবতলার মোড়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার রেজাউল ইসলামের ছেলে অরেঞ্জ এবং একই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মিনহাজ হোসেন আপেল। অরেঞ্জের চোখের নিচে আর আপেলের পেটে গুলি লাগে।
এদের মধ্যে সংগঠনের জেলা কমিটির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক অরেঞ্জকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) হয়। সেখানে ৮দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাত ১১টার দিকে অরেঞ্জ মারা যান। এছাড়া এ ঘটনায় আহত আপেল নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে ৩ জানুয়ারি দুপুর একটার দিকে বগুড়া সদর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালী আক্তার।
মামলায় উল্লেখ করা আসামীরা হলেন- বগুড়া মালগ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), রাসেলের ছোট ভাই রাছানী (২৭), শহরের ডাবতলা মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৮), একই এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২০), বেলতলা এলাকার মতিন শেখের ছেলে শাকিব (২২), মালগ্রাম এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে হাবিব (২৪) এবং একই এলাকার আইনুল কসাইয়ের ছেলে টিপু (২৬)।
এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫জনকে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার ৭ নম্বর আসামী টিপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, অরেঞ্জ মারা গেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।