আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চলতি বছরের মার্চেই করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে লক্ষ্য করে তৈরি টিকা আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছে ফাইজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা স্থানীয় সময় সোমবার সিএনবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
এরই মধ্যে ফাইজার ওমিক্রন থেকে সুরক্ষাদানকারী টিকাটির উৎপাদন শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন সিইও অ্যালবার্ট বোরলা।
বোরলা বলেন, ‘মার্চেই এই টিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমরা এখন নিজেদের ঝুঁকিতে একটা পরিমাণ টিকা উৎপাদন করছি।’
অ্যালবার্ট বোরলা বলেন, দেখা গেছে, বর্তমান টিকায় তৃতীয় ডোজ নিয়েও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা মিলছে না। ফাইজার আশা করছে, ১০০ দিনের মধ্যে ফাইজার বিশেষভাবে ওমিক্রনের জন্য তৈরি টিকাটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে উৎপাদন করতে পারবে।
এদিকে সোমবার (১০ জানুয়ারি) পৃথক সাক্ষাৎকারে মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ব্যানসেল বলেন, ওমিক্রন এবং অন্যান্য নতুন ধরনগুলোর জন্য কোম্পানিটি বুস্টার ডোজ তৈরি করছে এ বছরের মধ্যে।
ব্যানসেল আরও বলেন, ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের জন্য শক্তিশালী বুস্টারের জন্য আমাদের কৌশল কী হবে, সে বিষয়ে আমরা বিশ্বের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছি। ভাইরাসটির পেছনে নয়, আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে ভাইরাসটি থেকে এগিয়ে থাকা জরুরি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন ৯৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। হোয়াইট হাউসের প্রধান চিকিৎসাবিষয়ক উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউচি গত ডিসেম্বরেই বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হতে যাচ্ছে ওমিক্রন। এ জন্য ওমিক্রন-বিশেষায়িত টিকা প্রয়োজন, সে কথা বলেননি তিনি। তবে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছেন ড. ফাউচি।