নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির পাঁচদিনের মাথায় ভেসে উঠলো নিখোঁজ ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের লাশ। এদের মধ্যে এক পরিবারের ৪ জন নিখোঁজ হওয়া জেসমিন আক্তার নামে এক নারী ও তার মেয়ের মরদেহ রয়েছে।
আজ রোববার (০৯ জানুয়ারি) সকালে ভেসে ওঠা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক আব্দুল্লা আল আরেফিন জানান, সকালে ধর্মগঞ্জ ঘাটের অদূরে ৪টি মরদেহ ভেসে উঠে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে আরও ছয়জন। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যেখানে ট্রলার ডুবেছে, সেখান থেকে কিছুটা দূরে চারটি মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে আমাদের খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। আমরা গিয়ে উদ্ধার করি। মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার বক্তাবলী সিপাইবাড়ি খেয়াঘাট থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে পৌঁছালে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি ফারহান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় ট্রলারটি। এসময় অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একই পরিবারের চারজনসহ আরও ৬ যাত্রী নিখোঁজ হন। ঘটনার পঞ্চম দিন পার হলেও এখনো কাউকে উদ্ধার করতে না পারায় স্বজনদের আর্তনাদ ক্রমেই বাড়ছে।