তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: ২০ ডিসেম্বর দিনটি মৌলভীবাজারে স্থানীয়ভাবে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপনকৃত মুক্তিযোদ্ধা কোয়ার্টারে অনাকাঙ্ক্ষিত মাইন বিস্ফোরণে অর্ধ-শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
দিবসটি উপলক্ষে (সোমবার) মৌলভীবাজারে জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংঘটনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ মৌলভীবাজার স্থানীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জনাব হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব সুদর্শন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ জিয়াউর রহমান, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও ১ জনাব মোহাম্মদ আবু তাহের ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলা হানাদার মুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপনকৃত মুক্তিযোদ্ধা কোয়ার্টারে অবস্থান করছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল কিছুদিন বিশ্রামের পর নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন। কিন্তু বিজয়ের মাত্র চারদিন পর ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুর বেলা আকষ্মিক বিদ্যালয় ভবনে মাইন বিস্ফোরণ ঘটলে মুহূর্তেই সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। মাইন বিস্ফোরণে ক্যাম্পে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা হতাহত হন। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের ছিন্নভিন্ন দেহ জড়ো করে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে সমাহিত করা হয়।
এরপর থেকে প্রতিবছর মৌলভীবাজারবাসী ২০ ডিসেম্বর দিনটিকে স্থানীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।