১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ত্রিশ লক্ষ বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রমনা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে তার আজীবন লালিত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা‘ গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে কতিপয় বিপথগামী তরুণ সেনা কর্মকর্তাদের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।
শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের ভয়াবহ কালরাতের মাত্র কয়েকদিন পূর্বেই (৩০ জুলাই) জার্মানিতে স্বামীগৃহে চলে গিয়েছিলেন, সাথে বোন শেখ রেহানাও। ফলে মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় তাঁরা দুজন প্রাণে বেঁচে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৪৩তম, আর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বের ৩৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ২,৫৬৩ মার্কিন ডলার। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হবে ৫ হাজার ৪৭৯ মার্কিন ডলারেরও বেশি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার নেমে যাবে শূন্যের কোঠায়। বর্তমানে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (Least developed countries, LDCs) থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশের গ্রামগুলো মিনি শহরে পরিণত হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট শহরের মতই অনেক উন্নত হয়েছে। প্রতিটি গ্রামেই আধুনিক শহরের সব সুবিধাদি হাতের নাগালে। সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিস্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কম্পিউটার, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা, জ্বালানীর জন্য এলপিজি বোতল, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সবকিছুই রয়েছে গ্রামে। গ্রামে বসেই মানুষ ভোগ করছে সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখিয়েছে। দেশমাতৃকার নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমুদ্রতলে সাব-মেরিন এর সংযোজন করেছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া মানুষের জন্য আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউট‘ সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে অত্যাধুনিক হাসপাতাল স্থাপন ও গ্রামে-গঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ঘরে ঘরে চিকিৎসা সুবিধা পৌঁছে গেছে। তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক। ৩১২টি উপজেলা হাসপাতালকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা দুই হাজারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ১২টি মেডিকেল কলেজ, নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৭ হাজারেও বেশি জনশক্তি।
বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ এখন এক অনন্য নাম। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি মিশনে প্রথম যোগদানের পর এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৬৪ শান্তি মিশনে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, খ্যাতি ও সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। শান্তি রক্ষার সাথে চিকিৎসা, শিক্ষা ও মানবিক সেবা সহায়তা করে হিসেবে বাংলাদেশ এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এ যাবৎকালে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা এখন সকলের পছন্দ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার তাচ্ছিল্য করে বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি‘ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের ‘ইমার্জিং টাইগার‘ হিসাবে আখ্যায়িত, সমাদৃত। বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে’।
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে অপরিহার্য পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংক, জাইকা, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হবে সারা বাংলার অর্থনীতি। ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এক সুতায় গেঁথে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষকের ঘাম, কৃষিবিদদের চিন্তার ভাঁজ, কৃষি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমগ্রদেশে নিভৃত ভূমিকায় আজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে মায়ানমারে সেনাবাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত ও গণহত্যার শিকার হয়ে নিজভূমি থেকে বিতাড়িত প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আন্তর্জাতিক সমস্যায় মানবিক ও রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রেখে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি ‘মানবতাবাদী দেশ’ হিসেবে পরিচিত করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা গোটা বিশ্বের বিবেককে জাগিয়ে তুলেছেন। ব্রিটিশ মিডিয়া শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানটি (Mother of Huminity)’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর মোহনীয় স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আজ দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরের সর্বত্র বিরাজমান। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে e-governance, e-banking, e-commerce, e-learning, e-agriculture, e-health, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত করে জনগণকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সফলতার তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশ। আশ্রয়হীনদের আশ্রয়, ভূমিহীনদের ভূমি, ঠিকানাবিহীনদের চাকুরীর নিশ্চয়তা, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, বাসস্থান, নাগরিক সুযোগ-সুবিধার দিয়ে বাংলাদেশে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাংলাদেশে ২০০৯-২০১৯ সময়ে দেশে মেট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ১৩৮টিতে উন্নীত করেছে, গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৮ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৮৭ কোটিতে উন্নীত হয়েছে, সঞ্চালন লাইন ৮ হাজার থেকে ১২,২৯৩ সার্কিট কিলোমিটার এ উন্নীত হয়েছে, বিতরণ লাইন ২ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার সার্কিট কিলোমিটার হয়েছে, সেচ সংযোগ ২ লক্ষ ৩৪ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ৬২ হাজারে উন্নীত হয়েছে। আর বর্তমানে দেশের মেট ৯৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করে অচিরেই বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে একসময়ের ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য। সারাবিশ্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কপ-সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা আগ্রহী হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে, এক সাথে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুধীজনেরা শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
যেই পাকিস্তানের শোষণের যাঁতাকল থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু তার জীবনের স্বর্ণ সময় অতিবাহিত করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ সেই পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহ অন্যান্য সকল সূচকে এগিয়ে গেছে। রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেল, জন্মের ৫০ বছরের আগেই সেই বাংলাদেশকে এখন রোল মডেল ভাবছে পাকিস্তানের মানুষ। পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ডন’-এ সে দেশের অন্যতম পরমাণু বিজ্ঞানী পারভেজ হুদভয় লিখেছেন, ’৫০ এবং ’৬০-এর দশকে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের হেয় করত শারীরিক গঠনের কারণে। তারা মনে করত, কেবল ধান ফলাতে আর মাছ ধরাতেই বাঙালির কর্মদক্ষতা সীমাবদ্ধ এমনকি,……. বাংলাদেশ কখনই অর্থনৈতিকভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। অথচ সেই পাকিস্তানের জনগণ, বুদ্ধিজীবী গন, প্রচার মাধ্যম সকলেই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল‘ হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থনীতি, মানবিক উন্নয়ন সূচক, সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের টকশোর পরিচিত মুখ, উন্নয়ন পরামর্শক জাইঘাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশই হওয়া উচিত পাকিস্তানের উন্নয়নের মডেল। আমাদের যদি শেখার কিছু থাকে, সেটা বাংলাদেশের কাছে’।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে বাঙ্গালী জাতি। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিজয়ের ৫০ বছরের এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে। শাবাশ শেখ হাসিনা।
ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, ভেটেরিনারীয়ান, পরিবেশবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক কর্মী ও কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।