এ সপ্তাহের ‘টক অব দি টাউন‘ ছিল তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুরের এই সাংসদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গন, গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সিনিয়র সাবেক নেতার সাথে দেখা হতেই ডাঃ মুরাদ হাসানের সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। গায়ের ঘাম শুকিয়ে সাদা লোনা ধরা মলিন পোশাক পরিহিত ১/১১ এর সময়ে কারা নির্যাতনভোগী ঐ সম্মুখ সারির ঐ তুখোড় ছাত্রনেতা সংস্কারবাদীদের প্রলোভন ও হুমকির কথা বর্ণনা করে বললো, আজ বিএনপি-জামায়াত এর লোকেরা সুকৌশলে টাকার পাহাড় তৈরি করেছে, দলীয় পদ দখল করেছে, এমপি-মন্ত্রী হয়েছে। আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। ১/১১ এর পর যে সকল সংস্কারবাদীরা ধমক দিয়েছে, তাদের সাথে মিশে যেতে প্রলোভন দেখিয়েছে, তারা এখন এমপি-মন্ত্রী-দলীয় উচ্চ পদে আসীন‘। আমি নিরুত্তর, কি উত্তর দিব। আমারওতো প্রশ্ন আছে? যারা সেদিন শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, তারা সরকার ও সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ে আসীন। যাদের বক্তব্য সেসময়ের পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিল, তখন যারা বলেছিলেন শেখ হাসিনার রাজনীতি করা উচিত নয়, তারা আজ বড় মন্ত্রী, সংগঠনের বড় বড় পদবীধারী।
ডাঃ মুরাদের ভাইরাল হওয়া অডিও-ভিডিও দেখে প্রথমদিকে অবাক হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী আওয়ামী লীগের একজন নেতা, যিনি জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী, এহেন কর্মকাণ্ড করতে পারেন না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষায় টানা তৃতীয় বারের মতো দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত হচ্ছে। সারাবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কপ-সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা আগ্রহী হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, এক সাথে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুধীজনেরা শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করছেন। এমনি পরিস্থিতিতে সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এর কর্মকাণ্ড সত্যিই বিব্রতকর। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা দুঃখিত, লজ্জিত।
কিন্তু ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার দ্বিতীয় সংস্করণে ‘ছাত্রদল নেতা থেকে আওয়ামী লীগের (সরকারের) প্রতিমন্ত্রী‘ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে সম্বিৎ ফিরে পেয়েছি। মনে হয়েছে ডাঃ মুরাদের ঘটনাটা অস্বাভাবিক নয়। গত ১৪ অক্টোবর ২০২১, বাংলাইনসাইডার পোর্টালে প্রকাশিত ‘অনুপ্রবেশকারীরা কখনই সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী নন, ক্ষতির কারণ‘ শিরোনামে আমি লিখেছিলাম, ‘যে কোন রাজনৈতিক দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন কর্মীরা যোগদান বা প্রবেশ করবে এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু বুঝতে হবে কোনটি প্রবেশ, কোনটি অনুপ্রবেশ। এক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ শব্দটি ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। ইংরেজি শব্দ Infiltrate এর সমার্থক শব্দ ‘Penetrate’। বাংলা অর্থ: ‘অনুপ্রবেশ করা‘বা ‘গোপন এবং অবৈধ প্রবেশ‘। এই শব্দের ব্যাখ্যা: বিশেষ করে গোপন তথ্য অর্জন বা ক্ষতির কারণ হিসাবে কোনও সংস্থা বা স্থানটিতে গোপনীয়তার সাথে প্রবেশ বা প্রবেশের ক্রিয়া।
রাজনীতিতে ‘অনুপ্রবেশকারী’ শব্দটি বিতর্কিত টার্ম। কে কখন কীভাবে একটি দলে প্রবেশ করেন এবং কখন তার এই প্রবেশকে অনুপ্রবেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে—সেটি পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে। এটা চিহ্নিত করার সর্বজন গ্রহণযোগ্য কোনো মানদণ্ড নেই।
অনুপ্রবেশকারীরা নিজেদের আদর্শের কৌশলী জাল বিস্তারের জন্য দলে প্রবেশ করে। বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা ঐ সকল নব্য আওয়ামী লীগাররা নিজেদের উদ্দেশ্য গোপন রেখে আওয়ামী লীগের তথ্য সংগ্রহ করে অথবা দলের রাজনীতি নিজেদের আদর্শিক পন্থায় প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। উনারা দলের নাম ভাঙিয়ে অঢেল সম্পদ বাগিয়ে নেন, দলের সংকটে পাশে থাকেন না, তারা দলের জন্য ক্ষতিকর বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডাঃ মুরাদ হাসানের মত বিএনপি জামাতের আদর্শের অনুসারী আওয়ামী লীগ দলীয় অনেক সংসদ সদস্যই বিএনপি জামাতের অনুসারীদের ‘নৌকা‘র মনোনয়ন দিতে প্রভাবিত করছে, সংগঠনে গ্রুপিং সৃষ্টি করছে, বিভিন্ন অপকর্ম করছে, যাহা সরকারের ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। কারণ, ওরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক না। অপকর্ম করার সময় তাদের মানসপটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভেসে উঠে না। ওরা চিন্তা করে না, উনাদের অপকর্মের কারণে সরকারের ইমেজ বিনষ্ট হবে, সরকারের অর্জন ক্ষুণ্ণ হবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অবমাননা হবে।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট আদর্শ ও কিছু নীতিমালাসহ গঠনতন্ত্র থাকে। সেই আদর্শ ও নীতিমালা মেনে যে কোনো লোকই সংগঠনের সদস্য হতে পারেন বা প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু একসময় যিনি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সংগঠন জামাতের অনুসারী ছিলেন বা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি জিয়ার আদর্শে গঠিত সংগঠন করতেন, বা জিয়ার আদর্শের অনুসারী ছিলেন, তিনি নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারে না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হতে পারে না।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বলে গলা ফাটানো ডাঃ মুরাদ হাসানের মত অনেকেই ছাত্রজীবনে জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রদলে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পরবর্তীতে বিএনপি দলীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, তারা এখন ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগের উপরে পর্যায়ে স্থান করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওরা প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ-পদবীসহ সরকারের নীতি নির্ধারণী পদ জাতীয় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির পদও দখল করে নিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় ওবায়দুল কাদের সাহেবের ভাষায় ‘কাউয়া’ নেতা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে।
এখন প্রশ্ন, ডাঃ মুরাদের মতো আরও কতশত বিএনপি-জামায়াত করা ‘কাউয়া নেতা‘আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে?
ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদানকারী নেতারা স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্তু এ কথাতো ঠিক যে, একজন মানুষ ছাত্র জীবন থেকে এক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনৈতিক চর্চা করে বিকশিত হয়ে নেতা হলো, ভোল পাল্টে অন্য আদর্শের অনুসারী হতে পারে না। তারা আসলে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ভিন্ন আদর্শের অন্য একটি সংগঠনে অনুপ্রবেশ করে।
রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে দলীয় আদর্শহীন একজন মানুষ বিশেষ যোগ্যতায় সরকারের মন্ত্রী হতে পারে, কিন্তু আদর্শভিত্তিক একটি সংগঠনের নীতিনির্ধারক হতে পারেন না, কেন্দ্রীয় নেতা হতে পারেন না। একজন চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় একজন রোগী মারা যায়, একজন নেতার ভুল সিদ্ধান্তে একটি দেশ, একটি জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসেই এমন উদাহরণ রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, জামাত-বিএনপির লোক কি কারণে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন?
একটু পিছনে ফিরে তাকাই। আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রায়শই বলে থাকেন, জিয়াউর রহমান দেশ স্বাধীন করার জন্য নয় অনুপ্রবেশকারী হিসেবে, পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে। সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি থেমে থাকেনি। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বার্থ উদ্ধারে জিয়াউর রহমান গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যান। সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করেন। খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরদের সাথে সম্পৃক্ত হয়। জিয়াউর রহমানের সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তৎকালীন সরকার জিয়াকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দিয়ে দেশের বাইরে পাঠানোর আদেশ জারি করে। কিন্তু কয়েকজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধুকে ভুল বুঝিয়ে সেই আদেশ বাতিল করিয়েছিলেন। জিয়ার নেতৃত্বে অনুপ্রবেশকারীরা সুযোগ বুঝে খন্দকার মোশতাকদের সাথে নিয়ে উচ্চাভিলাসী কয়েকজন পথভ্রষ্ট সেনাকর্মকর্তাদের দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল বেনিফিশিয়ারি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। দল গঠন করে। জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত দল বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে স্বাধীনতা বিরোধীদের মূল নেতা গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনে এবং সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ৫ শতাধিক মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এসবই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। জিয়ার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করে। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসবই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে নির্মুল করা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নস্যাৎ করার জন্য।
তারপর দীর্ঘ ১৮ বৎসর আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় অগনিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ও ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি বিএনপি- জামাতের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। ওরা অতি সুকৌশলে ‘ক্ষমতা’র খুব কাছাকাছি থেকে পূর্বসূরিদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরনে সক্রিয় রয়েছে।
বিএনপি জামাত থেকে অনুপ্রবেশকৃতরা তাদের নিজস্ব লোকদের তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু কী পরিকল্পনায় বা কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য তারা বিএনপি সরকারের আমলেই বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করলেন এবং সুকৌশলে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হলেন, এটাই রহস্যজনক! এমনি অসংখ্য অনুপ্রবেশকারীর উদাহরণ রয়েছে।
ডাঃ মুরাদ হাসান এর মত জিয়ার আদর্শের অনুসারী অন্যান্য যে সকল অনুপ্রবেশকারীরা এখনও আওয়ামী লীগ ও সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থেকে সংগঠন ও সরকারের অনিষ্ট করছেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতন জনগোষ্ঠী।
ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, ভেটেরিনারীয়ান, পরিবেশবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক কর্মী ও কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।