কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় অনেক মানুষ যেসব প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম একটি রোগ হল কিডনি রোগ। এই কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশও পায় না। তাই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরি। সেই সঙ্গে জানা দরকার এর সঠিক চিকিৎসা কি হবে। আজ আমরা আপনাদেরকে জানাব কিডনি রোগের বিভিন্ন লক্ষণ ও এর প্রতিকার গুলোর কথা।
কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ
১. কিডনি রোগের লক্ষণঃ প্রস্রাবের রং পরিবর্তন
কিডনি রোগের একটি বড় লক্ষণ হলো প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হওয়া। কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাব বেশি হয় বা কম হয়। বিশেষত রাতে এই সমস্যা বাড়ে। প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়। অনেক সময় প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না।
২. কিডনি রোগের লক্ষণঃ প্রস্রাবের সময় ব্যথা
কিডনির সমস্যার আরেকটি বিশেষ লক্ষণ হল প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া । সাধারণত এসব লক্ষণ যেমন- প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ। কিন্তু যখন এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর আসে এবং পিঠের নিচের দিকে করে ব্যথা অনুভূত হয়।
৩. কিডনি রোগের লক্ষণঃ শরীরে পানি আসা
কিডনি সাধারণত আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য এবং বাড়তি পানি অপসারিত করে। কিডনির যখন কোন রোগ হয় তখন কিডনি শরীরের এই বাড়তি পানিকে অপসারিত করতে সমস্যা হয়। আর এই বাড়তি পানির কারণেই শরীরে ফোলাভাব টা তৈরি হয়।
৪. কিডনি রোগের লক্ষণঃ মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া
কিডনির সমস্যা হলে তখন শরীরে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে যায়। আর এই কমে যাওয়ার কারণে মস্তিস্কে তখন আগের তুলনায় অক্সিজেন পরিবহন কমে যায়। এজন্য কোন কাজে মনোযোগ দিয়ে করা যায় না বরং অসুবিধা হয়।
৫. কিডনি রোগের লক্ষণঃ পিঠের নিচের অংশে ব্যথা
এক্ষেত্রে অনেক সময় শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। আর পিঠের নিচের অংশেই এই ব্যথাটা যদি হয় তাহলে তা মোটামুটি চিন্তার বিষয়। কারণ কিডনির সমস্যায় অনেক সময় এই ব্যাথাটা হয়ে থাকে।
৬. কিডনি রোগের লক্ষণঃ চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি
কিডনির সমস্যা হলে তখন তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এজন্য শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারিত হতে পারে না। যার কারণে রক্তে বর্জ্যের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি থেকেই ত্বকে চুলকানি এবং চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি তৈরি হয়।
৭. কিডনি রোগের লক্ষণঃ বমি হওয়া
কিডনির সমস্যায় তখন তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। যার কারণে রক্তে বর্জ্যনীয় পদার্থ বেড়ে যায়। আর এ বেড়ে যাওয়ায় কিডনির রোগে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৮. কিডনি রোগের লক্ষণঃ ছোটো ছোটো শ্বাস
কিডনি রোগে তা অকার্যকর হয়ে যায় ফলে ফুসফুসে তরল পদার্থ জমা হয়। এছাড়া কিডনির রোগ হলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এজন্য অনেকের শ্বাসের সমস্যা দ্দেখা দেয়, তাই অনেকে ছোট ছোট করে শ্বাস নেন।