চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে ২০টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ সময় ৬মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শিশুটির মাসহ আরো ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৩টার দিকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রঙ্গিপাড়া এলাকার ফজল হক সওদাগরের বাড়ীতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। পরে ভোর পৌনে ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন লাকি (৩৫) ও তার ছেলে কালু (১৭), নিহত শিশুটির মা বৃষ্টি (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফজল হক সওদাগরের বাড়ির ভাড়াটিয়া আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে রাত ৪টার সময় হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে আটটি বসতঘর আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে আগুনে দগ্ধদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে শিশু আতিকুল ইসলাম মারা যান বলে জানা যায়।
আগুন লাগার পর ঘর থেকে পরিবারের সদস্যরা কোনো কিছুই বের করতে পারেননি। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, মৃত নূরুল হকের স্ত্রী নূর বেগম, পুত্র নুরুল আলম, মৃত নসু ড্রাইভারের পুত্র মোঃ ফোরক আহম্মদ, মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মাবিয়া খাতুন, মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মো. শাহা আলম, মৃত আনোয়ার মিয়ার পুত্র মোঃ বাদশা, আনোয়ারা বেগম ও লাকী আক্তার।
এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের স্টেশন কর্মকর্তা শাহাজাহান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, রান্নার চুলা অথবা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় আগুন দ্রুত পুরোবাড়ির বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।