ঈশাত জামান মুন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে সাবেক প্রাথমিক- গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপিকে নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য ও কটূক্তি করায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা শাখার আওয়ামীলীগের সকল অংঙ্গ সংগঠন।
আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মেডিকেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিক্ষুব্ধনেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সভা শেষে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের কুশ পুত্তলিকা দাহ করেন।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন সাগর,উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রশিদা বেগম,উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহিন, ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারসহ সকল অংঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপরদিকে বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্কর, লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ ও কূটক্তিকর মন্তব্য করায় হাতিবান্ধা থানায় গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও দায়ের করেছিলেন । তারকিছুদিন পর আবার সেই জাবেদ হোসেন বক্কর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন মূহুর্তের মধ্যে ফেসবুকের সেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক নিন্দার ঝড়ওঠে জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে। তাত্ক্ষণিক সেই ফেসবুক পোষ্টের প্রতিক্রিয়ায় বক্করকে অনেকেই টোকাই বলে অবিহিত করেন।
ফেসবুকে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে দেওয়া পোস্টটি নিজের টাইমলাইন থেকে ডিলেট করে ফেলেন বক্কর। ফেসবুকে দেওয়া সেই পোস্টের বিষয়ে জানার জন্য জাবেদ হোসেন বক্করের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির এমন কর্মকান্ডে বিব্রত জেলা পর্যায়ের আওয়ামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এহেন বক্করের এরুপ কর্মকাণ্ডের জন্য দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীবৃন্দ।