বাদুড়বাহিত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের পৃথক তদন্তে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খয়রুল কবির আজ সোমবার সকালে তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন,‘কোন অজানা রোগ নয়,বাদুরবাহিত নিপাহ ভাইরাসেই বালিয়াডাঙ্গীতে ২০ দিনের ব্যবধানে একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন।
ডা. আবু মো. খয়রুল কবির বলেন, রোগের কারণ অনুসন্ধানে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আইইডিসিআর’র পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম বালিয়াডাঙ্গীতে এসে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে চার সদস্যের আরও আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
তিনি বলেন,উভয় টীমই গত ১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় তদন্ত কাজ পরিচালনা করে জানতে পারেন মৃত ব্যক্তিদের সকলের জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি ও মস্তিষ্কে ইনফেকশনের (এনসেফালাইটিস) উপসর্গ ছিল। মৃত ৫ জনের মধ্যে একজনের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় এবং ওই নমুনায় নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
সিভিল সার্জন উল্লেখ করেন,বিভিন্ন সময় মৃত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি এবং তাদের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে আইইডিসিআর।
বাদুড়ের খাওয়া খেজুরের রসের মাধ্যমে ও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে বলেও তিনি জানান ।
এ সময় শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাহজাহান নেওয়াজ, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. তোজাম্মেল হক ও ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস