মো.নাছির উদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মেঘনা নদীতে স্পিডবোট ও বালুবাহী ভলগেটের সংঘর্ষে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮জন। গেল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি লঞ্চঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক ও উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মরহুম ইউনুছ ডাক্তারের একমাত্র সন্তান মাহাবুবুর রহমান জুয়েল (৩৫) স্পীডবোট চালক মরিচাকান্দী গ্রামের মধ্যপাড়ার খুর্শিদ মিয়ার ছেলে ভুট্টো (২০) এবং নরসিংদী সদরের সঙ্গীতা এলাকার জুলফু মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া(৪৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাত্রীবাহী স্পিডবোটটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে কোন ধরনের লাইট ছাড়াই দ্রুতগতিতে চলছিল নরসিংদী থেকে মরিচাকান্দি নৌঘাটে যাওয়ার পথে চালকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে ঘাটে আগে থেকে বেঁধে রাখা বালুবাহী ভলগেটকে সজোরে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুটি নৌযানের একটিতেও কোন আলো ছিলোনা, আলো থাকলে এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেত বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পথে জুয়েল এবং নরসিংদী নেওয়ার পথে ফরিদ মিয়ার মৃত্যু হয় এবং নিখোঁজ স্পীডবোর্ট চালক ভুট্টোর লাশ রবিবার বিকালে মেঘনা নদীতে ভেসে উঠে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহম্মেদ বলেন, যাত্রীবাহী স্পিডবোটটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে নরসিংদী থেকে মরিচাকান্দি নৌঘাটে যাচ্ছিল। পথে একটি বালুবাহী ভলগেইটের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর ঢাকায় নেওয়া পথে জুয়েল এবং নরসিংদী নেওয়ার পথে ফরিদ মিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।