কুমিল্লায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙ্গচুরের ঘটনা এখন বিশ্ব গনমাধ্যমেও প্রচার হচ্ছে। যারাই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকুক প্রচারমাধ্যম সরকারকেই অভিযুক্ত করছে। শুক্রবার আবারও চৌমোহনীতে মন্দির ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি-জামাত মিলে ১২ বছরে দেশে যতটুকু ক্ষতি করতে পারেনি, গত এক সপ্তাহের ঘটনা সেই ক্ষতিটি করে দিয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনাকে পুঁজি করে আন্দলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-বিএনপি। ধর্মের রাজনীতিকে উস্কে দিয়ে আবার তারা দেশকে সংঘাতময় করতে চায়। লাশ চায় রাজপথে। সংঘাতের রাজনীতি এই দুই দলের কাছে নতুন নয়, এর আগেও আগুন সন্ত্রাস করেছে দেশে। জামাত-বিএনপি’র রাজনীতি বুঝিতে খুব বড় পন্ডিত হওয়ার প্রয়োজন হয়না ৷ তবে সূত্রটি উদ্ধার করা এখন খুব বেশী প্রয়োজন।
সন্দেহভাজন ইকবাল এখন পুলিশের হেফাজতে। সে স্বীকারও করেছে সব। ইকবালের জবানিতেই বের হবে কারা কারা জড়িত। সেই তথ্য বের হলেই মূল হোতাদের পরিচয় খোলাসা হবে। উদ্দেশ্যটিও জানা যাবে। মান্না বা আলাল কি বললো তা নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার কারন নেই। অপরাধী যতই চালাক হউক নিজেই অপরাধের চহ্ন রেখে যায়। সার্বিক তদন্ত ছাড়া কারো কোন মন্তব্য করাও সঠিক হবেনা। তবে ঘটনাটি যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে অমত করেনি কেউ। সরকার বিষয়টি নিয়ে যেভাবে তৎপর হয়েছে, সংশ্লিষ্ঠদের তথ্য বের হবেই। উস্কানীদাতাদের পরিচয় পাওয়া গেলে পরিনতিটিও এখন অনুমান করা যাচ্ছে। যে কারনে অনেকেরই সুর পাল্টাতে শুরু করেছে।
ঘটনা ঘটার সাথে সাথে গনমাধ্যমে সরকারকে দায়ী করে যারা বক্তব্য দিয়েছে তাদের তথ্যের সূত্রটিও উদঘাটন করা খুব জরুরী। তাদের প্রচারনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে অনেকে মন্দির ভাঙ্গায় অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু কখনোই ধর্মবিদ্বেষী নয়। দুই ধর্মের সহঅবস্থান আমাদের দেশের ঐতিহ্য। দুই ধর্মের সম্প্রীতিকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে যারা ব্যবহার করে তারা দেশের শত্রু। কুমিল্লার ঘটনার পর এই শত্রুদের চিহ্নিত করা দেশের স্বার্থেই এখন জরুরী।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।