বিনোদন ডেস্কঃ বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের বড় ছেলে মাদককাণ্ডে শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান জেলে রয়েছেন। মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলের কুঠুরিতে দিন কাটছে তার। আরিয়ান খানের পরিচিতি এখন ‘কয়েদি নম্বর ৯৫৬’।
এদিকে এনসিবির বিরুদ্ধে এক অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে, শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এক ব্যক্তিকে টাকা দিয়েছে। সেই ব্যক্তিই আরিয়ানের বিপক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন। রোববার (২৪ অক্টোবর) এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন সাক্ষী নিজেই। তবে সর্বভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে ওই সাক্ষীর এমন মন্তব্য প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ‘মিথ্যে রটনা’ বলে দাবি করেছে এনসিবি।
এর আগে আরিয়ানকে গ্রেপ্তারের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, আরিয়ানের সঙ্গে এক ব্যক্তি সেলফি তুলছেন। সেই ব্যক্তির নাম কিরণ পি গোসাভি। প্রথমে মনে করা হয়েছিলম কিরণ এনসিবির কর্মকর্তা। সে সময় অনেকেই ওই সেলফি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পরবর্তীতে এনসিবি বিবৃতি দিয়ে জানায়, কিরণ তাদের কেউ নন। শুধু তাই নয়, কিরণকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরে তার খোঁজ চালায় এনসিবি। কিরণ ওই ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
এদিকে পলাতক কিরণের সহযোগী প্রভাকর সেইল জানিয়েছেন, তদন্তকারী সংস্থা তাকে ফাঁকা পঞ্চনামায় সই করিয়েছে। এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে তাকে বিপদে ফেলার ভয়ও দেখিয়েছেন।
নিজেকে কিরণের দেহরক্ষী বলে পরিচয় দিয়ে তিনি দাবি করেন, শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ১৮ কোটি রুপির চু্ক্তি হয়েছে বলে শুনেছেন। বাংলাদেশি টাকায় যা ২০ কোটিরও বেশি। এ বক্তব্য প্রকাশ হতেই তোলপাড় চলছে।
প্রভাকরের দাবি, কিরণ ‘রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সমীর ওয়াংখেড়েকে নিয়ে এই ধরনের ভাবনা শুরু হয়েছে তার। এমনকি তার নিজের জীবন ঝুঁকিতে আছে বলেও দাবি প্রভাকরের।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সুত্রঃ এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।