সম্প্রতি কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনার রেশ ধরে দেশে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধর্ম বিদ্বেষী সংঘাত ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল অবস্থানে। এমন অবস্থায় পবিত্র কোরআনকে অপমান করার ধৃষ্ঠতা রাজনৈতিক। দেশের সংখ্যা লঘু হিন্দুরা এমন দুঃসাহস দেখাবে মনে হয়না। তাহলে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং কেন?
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন ঢাকায় গিয়েছিলেন। ভারতের কাছে গ্যস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। মাননীয় শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থে সেই প্রস্তাবে রাজী হননি। বি এন পি ক্লিনটনের প্রস্তাব লুফে নিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতায় বসেছিল। এখন আবার বাংলাদেশ চীনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করবে বাংলাদেশ। ভারত বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। তিস্তা মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে ফারাক্কার নির্ভরতা থাকবেনা। দেশ পৌছে যাবে ভিন্ন অবস্থানে। এই প্রকল্প ঠেকাতে মোদি সরকার হাত মিলিয়েছে বি এন পি’র সঙ্গে। ভারতের সহযোগিতায় দলটি তৎপর হয়ে উঠেছে। আগামী নির্বাচনে আবার তারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। দেশের স্বার্থ নয় ক্ষমতাই বি এন পি’র রাজনীতির মূল লক্ষ্য। তারেক লন্ডনে বসে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রচেষ্টাই করে আসছিল। মূখে সরকারকে ভারতের বি টিম বলে শ্লোগান দিলেও বি এন পি’ই ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে। মন্দিরে কোরআন শরিফ রেখে ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা সেই পরিকল্পনারই অংশ। মানুষের দৃষ্টি ঘুরাতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে দেশপ্রেমিক সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সজাগ থাকতে হবে। নাহয় বড় বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে দেশের।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।