মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোরে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে রাশেদুল ইসলাম(১৮)নামে এক কিশোরকে অবৈধ আটক পূর্বক মুক্তিপন দাবি ও টাকা গ্রহনের সময় দুই অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন,যশোর সদর উপজেলার বারীনগর এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে মোঃনাইচ আল ইমরান ও একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলীর ছেলে রোকনুজ্জামান। উদ্ধার হওয়া রাশেদুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
যশোর সদর উপজেলার সাজিয়ালী গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে আনোয়ারা বেগম কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন,তার ছেলে রাশেদুল ইসলাম আলফা পরিবহনে হেলপারি করে।শনিবার ২ মার্চ দুপুরে রাশেদুল ইসলাম তার প্রয়োজনীয় কাজে চুড়ামনকাটি বাজারে আসে।সেখান থেকে পায়ে হেঁটে চুড়ামনকাটি বাজারের চৌগাছা সড়কে পৌছালে বিকেল ৪ টায় নাইচ আল ইমরান, রোকনুজ্জামান,বারীনগর বাজারের তৌহিদের ছেলে অনিকসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন গতিরোধ করে।পরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণপূর্বক একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায়।সেখানে উক্ত আসামীরা রাশেদুল ইসলাম মারপিট পূর্বক মিথ্যা পরিচয় দিয়ে চাঁদাদাবি করে। অপরাধীরা রাশেদুল ইসলামকে জিম্মি করে তার মাতা আনোয়ারা বেগমের মুঠোফোনে ফোন করে নিজেদের পুলিশের এসআই পরিচয় দেয়।তারা বলেন,রাশেদুল ইসলাম তাদের হেফাজতে।তাকে মুক্ত করতে হলে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে,না দিলে ফেনসিডিল দিয়ে রাশেদুল ইসলামকে চালান দেওয়া হবে। অপরাধীরা রাশেদুল ইসলামের মাকে টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেওয়ার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার দেয়।টাকা দেওয়ার পূর্বে কোতয়ালি মডেল থানায় খোঁজ খবর নিয়ে নিশ্চিত হন পুলিশের হেফাজতে রাশেদুল ইসলাম নয়।পরে পুলিশের সহায়তায় রাত ৮ টায় বারীনগর কাঁচা বাজারে পৌছালে অপহরণকারী নাইচ আল ইমরান ও রোকনুজ্জামান মুক্তিপণ টাকা নিতে এসে হাতে নাতে ধরা পড়ে।অন্যান্য সহযোগী আসামীরা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে রক্ষাপায়।রাশেদুল ইসলামকে উদ্ধার করার পরে এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ(এসআই) সুকুমার কুন্ডু রাশেদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করলে সে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।গ্রেফতারকৃত দুই জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।