কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ সামনেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজো। ঘরে ঘরে দেবী-দূর্গার আগমনী বার্তায় এখন মুখরিত সময় পার করছেন নওগাঁর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আর কয়েক ঘন্টা পরেই দেবী দূর্গা আসছেন মর্তলোকে। দেবী দুর্গাকে সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর প্রতিমা গড়ার কারিগররা।কারিগরদের শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ পাবে দেবী দুর্গার। এখন দেবী দুর্গাকে ঘিরেই প্রতিমা কারিগররা ব্যাস্ত সময় পার করছে।
জেলায় পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্যে মতে, জেলার ১১ টি উপজেলায় মোট ৮১৯ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজোর আয়োজন চলছে। নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১৭টি, মহাদেবপুরে ১৫৮ টি, মান্দায় ১২৫টি, বদলগাছীতে ১০৬টি, পত্নীতলায় ৮১টি, নিয়ামতপুরে ৬৩ টি, রানীনগরে ৫১ টি, আত্রাইয়ে ৪৯ টি, ধামইরহাটে ৩৩টি, পোরশায় ১৮টি এবং সাপাহারে ১৭টি পুজো মন্ডপ স্থাপনের কাজ চলছে।
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ গুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা কারিগররা কাঁদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিলতিল করে নিপুণ হাতে গড়ে তুলছেন দেবীদূর্গার প্রতিমা। এরপর প্রতিমাতে দেয়া হবে রং তুলির আঁচড়। আজ ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর ৫ দিন ব্যাপী ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় প্রতিমা কারিগর ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আশা প্রতিমা কারিগর তাদের নরম হাতের ছোঁয়া দিয়ে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ করছেন।
এছাড়াও পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্ডপ গুলোতে চলছে নানান সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ মন্ডপে প্রতিমায় মাটি লাগানোর কাজ শেষ। কিছু কিছু মন্ডপে চলছে রং তুলির কাজ। বৈশিক করোনা মহামারি অনেকটা কম থাকায় মাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত কারিগড়রা বলেন, দু’এক দিনের মধ্যে শুরু হবে রং এর কাজ। প্রতিমাগুলোকে মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সকল প্রতিমা তৈরির কাজ।
নওগাঁ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু নির্মল কৃষ্ণ সাহা জানান, আজ ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা উৎসব। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব।
এব্যাপারে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, পূজো উৎসবকে ঘিরে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপসহ আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।