শহীদ আফ্রিদি, সুনীল নারাইন, সাকিব আল হাসান, এভিন লুইসদের মতো তারকা যে দলে আছে সে দল যে বিপিএলের শেষ চারে যাবেই সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কারো। ঢাকা ডায়নামাইটসকে ধরে বাকি তিন দলের হিসাব কষছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনুমিতভাবেই এবারের আসরের শেষ চারে উঠে গেল সাকিব আল হাসানের দল। শনিবার রাজশাহী কিংসকে ৯৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় ঢাকা। জবাবে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয় রাজশাহী কিংস। এই হারে শেষ চারে ওঠাটা কঠিন হয়ে গেল রাজশাহীর জন্য। শেষ দুটি ম্যাচে রংপুর রাইডার্স যদি পথ না হারায় তাহলে রাজশাহী ও সিলেটের বিদায় ঘণ্টা প্রায় নিশ্চিত। ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রাজশাহী। ১৯ রানের মধ্যে লেন্ডল সিমন্স, লুক রাইট, মুশফিকুর রহিম ও জাকিরকে হারিয়ে বসে দলটি। এরপর সামিত প্যাটেল, মুমিনুল হক চেষ্টা করেছিলেন তবে সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপের সামনে কেউই টিকতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন সামিত প্যাটেল। এ ছাড়া মুমিনুল ১৯ ও মিরাজ ১৬ রান করেন। সাকিব আল হাসান ৮ রান খরচ করে নেন চারটি উইকেট। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছেন সাকিব আল হাসানরা। ঢাকার রানের পাহাড়ে ওঠার পেছনে রাজশাহীর ফিল্ডারদের অনেক বড় অবদান আছে। চারটি ক্যাচ মিস করেছেন মুমিনুলরা। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে রান পাচ্ছিলেন না সুনীল নারাইন ও জো ডেনলি। রানের জন্য হন্যে হয়ে ওঠা নারাইন আউট হতে পারতেন তৃতীয় ওভারে। সেবার তাঁর ক্যাচ মিস করেন মুমিনুল। পরের ওভারে এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে জীবন দেন কাজী অনিক। নারাইনের রান তখন ১১। সপ্তম ওভারে আবার জীবন পান নারাইন। এবার ক্যাচ ছাড়েন সামিত প্যাটেল। নারাইনকে আউট করার আরো দুটি সুযোগ নষ্ট করে রাজশাহী। একের পর এক জীবন পাওয়া নারাইন করেন ৩৪ বলে ৬৯। সতীর্থ ওপেনার জো ডেনলি করেন ৫৩ রান। এই দুজন ব্যাটসম্যানই ঢাকার বড় জয়ের রাস্তাটা করে রাখেন। এরপর পোলার্ডের ১৫ বলে ৩৩ ও আফ্রিদির ৭ বলে ১৪ রানে ভর করে ২০৫ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।