ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রীম যে টাকা নিয়েছে তার কোন হদিস মিলছে না – টিপু মুনশি
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পণ্যের বিনিময়ে অগ্রীম যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মি. মুনশি জানান যে, “ইভ্যালি মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে এবং তাদের সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে, তার মোট অঙ্ক হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকার থেকেও বেশি। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে সেই টাকার কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি।”
“তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারসহ নানা ধরনের অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করে।”
তদন্ত শেষে মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জানান যে, গ্রাহকদের ও সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে নেয়া টাকার খুব সামান্য অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
“সেজন্যই সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, এই বিশাল দায় কীভাবে তারা শোধ করবে?”
এছাড়াও ইভ্যালি এর মধ্যে যেই পরিমাণ টাকা গ্রাহক ও তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক পার্টনারদের কাছ থেকে নিয়েছে, তাদের টাকা তারা ফেরৎ পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়েও যথেষ্ট পরিমাণে সন্দিহান বাণিজ্য মন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে- “ইভ্যালি তাদের ফান্ড কোথায় রেখেছে বা অন্য কোনো উৎস আছে কিনা সেটা তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এখন অবধি সেই পরিমাণ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।”
মূলত এ বছরের জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে যে পণ্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইভ্যালি আইন ভঙ্গ করেছে।
এর পর আবার জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত দল ইভ্যালির কার্যক্রমের কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করে ও তার উপর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তার পরদিনই বেশ কয়েকটি ব্যাংক ইভ্যালি সহ আরো কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার ভিত্তিতে সেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন বাতিল করে দেয়।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে দুদক সহ বিভিন্ন সংস্থা যখন নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে, তখন আগাম টাকা দিয়েছেন এমন গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ পাওয়ার ব্যাপারে নতুন করে উদ্বেগ বা সংকট তৈরি হয়।
আর গ্রাহকদের অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, ইভ্যালির সাথে যোগাযোগ করে কোন সাড়া মিলছে না এবং তারা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বন্ধ পাচ্ছেন।