ভোট অর্থাৎ নির্বাচন,নির্বাচন যদি কাছে আসে নির্বচনের প্রার্থীরা ভোটারদের তত কাছে টানেন। মনে হয় যেন প্রার্থী আর ভোটারেরা একে অপরের আত্বার আত্বিয়। ভোটের আগে ভোটারের যত আপত্বী সব গুছিয়ে দেন র্প্রাথীরা। অনেক র্প্রাথীরা বলে থাকেন,যে আপনার বা আপনার এলাকায় কি করতে হবে আমাকে জানাবেন আমি সব করে দিব। কিস্তু ভোটের পরে পাল্টে যায় তার চিত্র। ভোটের আগে প্রার্থীদের আত্বার আত্বিয়ের মত ভোটারেরা ভোটের পর অচিন মানুষ হয়ে যায়। নির্বাচিত হওয়ার পর ভোটার যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে যান তখন ভোটার কে প্রশ্ন করা হয়, আপনী কে, কোথায় বাস করেন। কার ছেলে, কতো আসনের ভোটার। আপনাকে কে চিনে সহ ইত্যাদি। আর এলাকার উন্নয়নের কথা বললে বলেন,সরকারী অনুদান পাওয়া যাচ্ছে না বা যত পাওয়ার কথা তত পাচ্ছি না বা সরকারকে বলেছি। দেখি কি করে সহ নানান বাহানা। তবে আমাদের দেশের সংবিধান অনুয়ায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য প্রতি পাঁচ বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হয়। নির্বাচন মানে হচ্ছে,বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনে বিভিন্ন মার্কা নিয়ে প্রার্থী হন এবং দেশের জনগন যারা ভোটার তারা দেকে শুনে ভোট দিয়ে ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা জাতীয় সংসদে গিয়ে তাদের স্ব-স্ব আসনের উন্নয়ন তথা ভোটারদের প্রস্তাবিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। তবে দুঃখের বিষয় যে, নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীরা এলাকায় ভোটারদের যে ভাবে আলিঙ্গঁন করে থাকেন বা আত্বার আত্বীয় হিসেবে আপন করে নেন। নির্বাচনের পর ঐ চিত্র সম্পূর্ন ভাবে পাল্টাতে থাকে। ভোটারদর কদর বা মর্যদা যদি নির্বাচনের পূর্বের মত একই আচরন নির্বাচনের পরেও থাকতো তাহলে সাধারন মানুষ ভোটেরেরা তাদের ন্যায্য অধিকার বা তাদের বিভিন্ন সহযোগী বা দাবী দাওয়া হইতে বঞ্চিত হতো না। তার সাথে সাথে ঐ নির্বাচিত প্রার্থীরা এলাকায় তার জনপ্রিয়তায় কমতি থাকতো না। বর্তমানে অনেক বিজ্ঞ জনে বলেছেন নির্বাচন বা রাজনিতি এখন ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। তাই যদি হয় তাহলে দেশের সাধারন জনগন বা ভোটারদের নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে প্রার্থীদের জন্য বা রাজনিতি বিদদের জন্য চরম ভুল। কারন বির ভাঙাগালী একত্রিত হয়ে ১৯৭১ সালে অসুভ গ্রহকে বাংলাদেশ থেকে বিতারিত করেছিলেন মাত্র নয় মাসের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে। সেই বির ভাঙালীরা যে কোন সময় একত্রিত হয়ে আবার ব্যবসায়ী মনোভাবপন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকেও মুখ পিরিয়ে নিতে দ্বিধাবোধ করবেনা। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি আসুন নির্বাচনের আগে ভোটারের যেই মর্যদা সেই মর্যদা নির্বাচনের পরও বহাল থাকে মতো সিদ্বান্ত নেন। নয়ত বাঙালীরা তাদের সঠিক সিদ্বান্তই নিবে। লেখকঃ মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী,সম্পাদক- নিউজ একাত্তর ডট কম।