২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন ভার্সনে ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূল বেদখল হয়ে গেছে’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে বিবার্তা ২৪ ডটনেট সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি’র লেখাটি পড়ে মনে হলো, উল্লেখিত নিবন্ধে লেখিকা যতটুকু লিখেছেন আওয়ামীলীগ নেতাদের মনে যদি শুধুমাত্র ততটুকু উপলব্ধি আসতো তবে আওয়ামীলীগ আরও শক্তিশালী হতো, দেশ ও জাতি উপকৃত হতো।
উক্ত নিবন্ধে উল্লেখিত কঠিন সত্য কথাগুলোর দু/একটি উদ্ধৃত না করলেই নয়। তিনি লিখেছেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে চেহারা দেখানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতার এই নির্লজ্জ বেহায়াপনা খুবই দৃষ্টিকটু। শোক জানাতে গেছেন নাকি টিভি ক্যামেরায় চেহারা দেখাতে গেছেন? এগুলো দেখার মত মানসিক অবস্থায় নিশ্চয়ই ঐদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকেন না? তাহলে কাকে দেখাতে চান’?
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস একান্তই অন্তরজাত শ্রদ্ধামিশ্রিত অনুভূতির। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামীলীগের প্রকৃত নেতাকর্মীরা জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালনে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নিজের পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার মানসিকতা নিয়েই জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকেন। ঠেলাঠেলি করে অনুপ্রবেশকারীরা, হাইব্রিড আওয়ামীলীগাররা। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে নাই। সরকারি ও ব্যবসায়ী সুযোগ সুবিধাসহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার সুবিধা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও বিভিন্ন মহলে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে প্রমাণ করার জন্যই ছবি তোলার মহড়ায় নামেন।
দলের দুঃসময়ে অবদান রেখেছেন এমন সাবেক ছাত্রনেতাদের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি দলকে সংগঠিত রাখতেই আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক কাঠামোতে উপ-কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে নির্মম সত্য হলো বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন ধরনের লোকেরা পায় উপ কমিটির পদ। অতীতে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও সাবেক ছাত্রনেতা পরিচয়ে অনেকেই কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন দলের উপ-কমিটিতে থেকে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন শাহেদ, হেলেনার মতো ব্যক্তিরা। আর এসব কারণে শুরু থেকেই কম-বেশি বিতর্কে পড়েছে আওয়ামী লীগের বিষয়ভিত্তিক এসব উপ-কমিটি। ছদ্মবেশে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে সুবিধাবদীরা সরকার ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। কোন যোগ্যতা না থাকলেও উপকমিটির কর্তাব্যক্তিদের পরিচিত, তাদের নিজ এলাকার লোক হিসেবে জায়গা পেয়েছে অনেকে। এইসব উপ কমিটি গুলোতে এমন অনেককেই রাখা হয়েছে, অতীতে যাদের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না। তাদের জীবনের প্রথম রাজনৈতিক পদ এই উপকমিটির সদস্য। এরই ফলে উপ কমিটি গঠনে সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী না হয়ে বরং দুর্বল হয়েছে। সংগঠন ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান নিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে যাওয়ার নেতাকর্মীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। ফলে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী সৃষ্টিও হচ্ছে কম। সংগঠন সরকারে থাকলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। এই সুযোগে সুবিধাবাদীরা সুবিধা গ্রহণের জন্য নেতাদের খুব কাছাকাছি আসে, বিভিন্ন উপায়ে নেতার কাছের লোক হয়। দুর্দিনে শ্রম, ঘাম, মেধা ও ডেডিকেশন দিয়ে দলকে যারা সংগঠিত করেছিলেন তারা সুবিধাবঞ্চিত হয়, একপর্যায়ে হারিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে যারা রাজনীতিটা করতে চান তারা দূরে সরে গেছে, এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
স্কুল জীবনে থেকে আমি সক্রিয় রাজনীতি করি। অসংখ্য মেধাবী নিবেদিত প্রাণ ছাত্রলীগ নেতার সংস্পর্শে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ও এরশাদ বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে শওকত, ওয়ালী, মোহসিন, সেলিম-দেলোয়ার, কাঞ্চন, দীপালি সাহা, চুন্নু, রাউফুন বসুনিয়া, মনিরুজ্জামান বাদল, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীসহ সারাদেশে অসংখ্য বলিষ্ঠ নেতাকর্মীর রক্তস্নাত পথ বেয়েই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। যারা বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন বাদে বেশিরভাগই হারিয়ে গেছেন। সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডরা আমাদের চারিদিক ঘিরে আছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত নাটোর যুবলীগ কর্মীটির কথা প্রায়ই মনে পড়ে। বিএনপির সন্ত্রাসীদের আঘাতে মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছিল। সারা শরীর প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিল। টগবগে যুবক কিছুদিন হয় বিয়ে করেছে। নবপরিণীতা বধূকে বলেছিল, ‘তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেওনা। আমার নেত্রী আমাকে চিকিৎসা করাবে। আমাকে সুস্থ করে তুলবে‘। সেই নববধূ অসুস্থ স্বামীকে ছেড়ে যায়নি। মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মায়ের আদরে সেই যুবককে আঁচলে তুলে নিয়েছেন, চিকিৎসা করিয়েছেন। সেই ছেলেটি আংশিক সুস্থ হয়েছিল। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ক্ষমতায় আসতে পারলে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো হবে। সুখের সংসারের আশায় বুক বেধেছিল সেই নবদম্পতি। আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর হঠাৎ সেই যুবকের টেলিফোন কল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন ‘যমুনা‘র সামনে থেকে কল করেছে। যমুনা‘য় প্রবেশ করতে পারছে না। তাকে কেহ চিনে না। তাই আমাকে কল করে বলছে, ‘ভাই আপনিতো বলেছিলেন ক্ষমতায় আসলে উন্নত চিকিৎসা করাবেন। এখনতো আপা‘র (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) সাথে দেখাই করতে পারছিনা। ভাই, চিকিৎসা হোক বা না হোক, আপার সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করেন। না হয় বউয়ের কাছে ইজ্জত বাঁচে না। ও তো বড় আশা নিয়ে সেসময় আমাকে ছেড়ে যায়নি‘। ভাবছি আমি কিভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করাবো। যুবকটি তো জানেনা আমিতো নেত্রীর সহকারী একান্তসচিব ছিলাম বিরোধী দলে।এখনতো আমি সাবেক। তারপরও সেই যুবকটিকে হতাশ না করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরকে ফোন করে ছেলেটির পরিচয় দিলাম, বিস্তারিত জানালাম। অনুরোধ করলাম, চিকিৎসা হোক না হোক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার ব্যবস্থা করার জন্য। পরবর্তিতে চিকিৎসা হয়েছে কিনা জানিনা, তবে এপিএস সাহেব আমাকে নিশ্চিত করেছেন, সেই দম্পতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়েছে।
একদিন সকালে পায়ে হেটে আমার বাসা থেকে সুধাসদন যাওয়ার পথে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে কংক্রিটের বেঞ্চে বসা একজন স্মার্ট পঙ্গু যুবকের সাথে দেখা। দেখে মায়া হলো। অসহায় মুখমন্ডল, পাশেই দুটো ক্র্যাচ। জিজ্ঞাসা করলাম, পরিচয় কি? এ অবস্থা কেন? বিস্তারিত জানালো সে। নেত্রকোনা শহরে বাড়ী। নাম শামসুর রহমান লিটন। ভিপি লিটন হিসেবে পরিচিত নেত্রকোনা শহরে। ওদের তিনজনকে টার্গেট করেছে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। যুবলীগ সভাপতি স্বপন জোয়ারদার, ছাত্রলীগ সভাপতি প্রশান্ত রায় এবং সে। বাবরের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন স্বপন জোয়ারদার, প্রশান্ত রায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাবরের সন্ত্রাসীদের হাতে পরলে তাকেও মেরে ফেলবে। ভিপি লিটনের দুই পায়ের রগ কেটে লোকালয় থেকে দূরে পুকুরের কাদায় পুঁতে রেখেছিল। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অপরিচিত লোকদের সহায়তায় উদ্ধার হয়েছে। পরিবার চিকিৎসা করিয়েছে। এখন ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করে। উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ করার আশা নিয়ে এসেছেন। ১০ টার পর সুধাসদনে যাবেন। আমি তাকে সাথে করে সুধাসদনে নিয়ে গেলাম। মমতায়মী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিপি লিটনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন। এখন লিটন সুস্থ।
আমি এই ঘটনাসমূহ বর্ননা করলাম এই কারণে যে সরকারের সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারী-হাইব্রিডরা জানেনা এই ইতিহাস। বড় বড় দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক এমপি-মন্ত্রী-কেন্দ্রীয়নেতা, যাদের মাধ্যমে হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশ ঘটে, তারাও জানেনা এই সকল নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা। এই নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অনেক অসাধু সরকারী কর্মকর্তা কানাডার বেগমপাড়াসহ বিভিন্ন দেশে আপনাদের বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি সম্পদের পাহাড় তৈরী করছেন।
সম্প্রতি ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকায় উপনির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন মির্জা আজম এমপি। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তৃণমূল পর্যায় থেকে গড়ে উঠা গনমানুষের নেতা, ছয় বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সারাদেশে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মনের কথা বুঝতে শিখেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগ এর এক কর্মীসভায় ঢাকা-৫ এর উপ-নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থেকে অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেছেন, ‘সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো পদবানিজ্য। ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া ব্যবসা। এরচেয়ে লাভজনক ব্যবসা, আর কোন ব্যবসা কিন্তু এখনো আসেনি’। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগ আয়োজিত এমনি অপর একটি কর্মীসভায় তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি ঘরানার এক শিল্পপতির দুই ছেলে (বয়স ১৯ ও ২১ বছর) মহানগর আওয়ামীলীগের দুইটি থানা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই দুইজন কোনদিন কোথায়ও আওয়ামীলীগ বা অংগ-সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন না এবং বর্তমান সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের সাথে বেশ সখ্যতা বজায় রেখে বেশ ভালভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। এই সকল অনুপ্রবেশকারীরা দেশের সেবা করার উদ্দেশ্যে সংগঠন করতে আসেন নাই। তারা সরকারী দলের পদ ব্যবহার করে সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেই সংগঠনের পদ ক্রয় করেছেন।
আওয়ামীলীগের অনেক নেতা মনে করেন দলে যোগদান করালেই আওয়ামীলীগার হয়ে গেল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তা কি করে হয়? কাঁঠালের বীজ দিয়ে যে চারা হয়, সেই চারা বড় হয়ে কাঁঠাল ফল দেয়। একজন ছেলে/মেয়ে ছাত্রজীবন থেকে যেই আদর্শ অনুসরণ করে রাজনৈতিক চর্চা করে বড় হয়ে তার চাকুরী জীবনে বা রাজনৈতিক জীবনে সে ঐ আদর্শই বাস্তবায়ন করবে। বড় হয়ে অন্য আদর্শের দীক্ষা নিলেও সেই আদর্শ অন্তরে গাঁথে না। যেমন একজন মাদ্রাসার ছাত্র ছোট বয়সে কোরআন হেফজ করার সময় যেভাবে মনে গাঁথে, বড় হয়ে হেফজখানায় ভর্তি হলে কোরআন মুখস্থ করতে পারে না। তেমনি অন্য আদর্শের অনুসারী কেহ বড় হয়ে আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতা, এমপি-মন্ত্রী হতে পারে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অন্তরে ধারণ করতে পারবে না। আওয়ামীলীগের বেগতিক দেখলে এসকল হাইব্রিড এমপি-মন্ত্রীরা অকপটেই বলে ফলে, ‘তোমাদের আওয়ামীলীগ‘। এটাই স্বাভাবিক। এই অনুপ্রবেশকারীরাই আওয়ামীলীগ এর পরগাছা।
আওয়ামী লীগ যদি পরগাছারূপী এইসব লুটেরাদের উপড়ে ফেলতে না পারে, তাহলে এরাই আগামীতে আওয়ামী লীগকেই ধ্বংস করবে।
২৩ জুন বৃহস্পতিবার, ১৯৬৬ সন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ডায়েরীতে বাগানের আগাছাগুলির ক্ষতিকর প্রভাবের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাজনীতির মাঠের পরগাছার ক্ষতিকর প্রভাবের নির্মম সত্য কথা তুলে ধরে লিখেছেন, ‘বাজে গাছগুলো আমি নিজেই তুলে ফেলি। আগাছাগুলিকে আমার বড় ভয়, এগুলি না তুললে আসল গাছগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন আমাদের দেশের পরগাছা রাজনীতিবিদ- যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তাদের ধ্বংস করে, এবং করতে চেষ্টা করে। তাই পরগাছাকে আমার বড় ভয় ’( কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ১১৭)।
ড. মোঃ আওলাদ হোসেন
ভেটেরিনারীয়ান, পরিবেশবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক কর্মী ও কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।