তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণের স্বপরিবারে হত্যায় শোক সন্তপ্ত পরিবারের মাকফেরাত কামনা করে স্মৃতি বিজড়িত আলোচনা সভা আয়োজন করেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার দুই মুক্তিযুদ্ধা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউপি এর বাড়ি ধারা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু শহিদ আবদুল্লা ও শহরতলীর বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী বিরাজ সেন (তরুণ)।
রোজ সোমবার (৩০ আগষ্ট) বিকেল ৫ ঘটিকায় এই আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করে ১৯৭৫ সালের সেই ইতিহাসের ঐতিহ্যৈর ঐতিহাসিক দিন গুলি স্মৃতি চারণ করেন।
এসময় ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু মুক্তিযোদ্ধারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আসলে বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ একটি অস্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। যেখানে খুন, গুম, হত্যা, রাহাজানি সহ বিশেষ করে যারা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী পরিবারকে খুব ভালবাসতো তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচারের বেদনা দায়ক স্মৃতি। খন্দকার মোশতাকের শাসন আমল থেকেই যারা বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের উপর চালানো হতো অত্যাচার ও নির্যাতন। এমনকি সামাজিকভাবে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সাজানো হতো মিথ্যা নাটক। মোস্তাক বাহিনীর পর পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে থেকে আগের রূপে হামলা-মামলা, গুম-খুন চালানো হয় আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত হৃদয় থেকে ভালবাসে তাদের উপর ও বিশেষায়িত করে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর। এরপর স্বৈরাচারী জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর নির্যাতন চলছিল তা যেন আরো তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। তখন সময়ে জাতীয় পার্টির অনেক গুণ্ডাবাহিনী আমাদের শ্রীমঙ্গলে বঙ্গবন্ধুর নামটি উচ্চারণ করতে দিত না। যখন আমরা শ্রীমঙ্গলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করি তখন সময়ে অনেকে আমাদের উপর গুলি পর্যন্ত চালায়। পরবর্তীতে তখন তাদের কারনে আমাদেরকে জেলে প্রেরণ করা হয়। এর পরবর্তীতে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। তখনও আমাকে শ্রীমঙ্গলের আহব্বায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
১৯৮৯ সালে বাবরি মসজিদ ইস্যুতে শ্রীমঙ্গলে তখন সাম্প্রদায়িকতার নামে পুরো উপজেলা জুড়ে চলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মন্দির ভাংচুর ঐই সময়ে আমার বাসায় সামনে মিশন রোডের রামকৃষ্ণ মিশন ভাংচুর করতে বাধা হয়ে দাঁড়াই আমি সহ আমার পরিবার । এর ফলে তত্কালীন সময় আমার দোকান কোঠা সহ বাসায় আগুন লাগানো হয়। শহরের অন্যান্য মন্দির ভাংচুর হলেও অক্ষত থাকে রাম কৃষ্ণ মিশন।
সর্বশেষ বলেন, আমি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য আমার শরীরের শেষ বিন্দু পর্যন্ত আমি পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং পাশে থাকবো।