মো.নাছির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মানিত সদস্য ও বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফের বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী,সমাজসেবক রাজনীতিবিদ,বাঞ্ছারামপুর (বটতলী) গ্রামের মো.ফজলুল হক ভূঁইয়া।
তিনি গত শনিবার উপজেলার ফতেপুর গ্রামে অটোগাড়ীর সাথে সংঘর্ষে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হলে দ্রুত ঢাকার একটি বেসরকারি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্হায় আজ রবিবার সকাল ১০টায় তিনি ইন্তেকাল করেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়,বাঞ্ছারামপুর ফায়ার সার্ভিস মাঠ সংলগ্ন। জানাযা শেষে কান্দা পাড়া পারিবারিক কবর স্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাযায় মরহুমের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনায় বক্তারা বলেন,তিনি আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন।তিনি ছিলেন ন্যায় বিচারক, সমাজসেবক, সফল রাজনীতিবিদ।
জানাযায় মরহুমের পক্ষ থেকে কমিশনার নুরুল ইসলাম সবার নিকট ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।
জানাযায় ইমামতি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ওলামা ফ্রন্ট সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী,খাদেম বিশ্ব জাকের মঞ্জিল।
জানাযায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দুধ মিয়া মাষ্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জাকের পার্টির সভাপতি মো. সেলিম মিয়া ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম বকুল ভূঁইয়া, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন,সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.কবির হোসেন,হোমনা উপজেলার বি এনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমান মোল্লা ও বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ কয়েক হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মরহুম মো.ফজলুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম(অব.) এমপি গভীর ভাবে শোকাহত। তিনি জরুরি সংসদে কাজ থাকায়, আসতে পারেনি।
এ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর ও হোমনা উপজেলার আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সংগঠন ও বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফের ভক্তবৃন্দরা শোকপ্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
তিনি মৃত্যুকালে গর্ভধারিণী মা, স্ত্রী,৭ মেয়ে, লাকী আক্তার ,লাভলি আক্তার,বাবলি আক্তার,শিবলী আক্তার,বিজলী আক্তার,সুমি আক্তার,উরমী আক্তারসহ, অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। ৫ মেয়ে বিবাহিত, ছোট ২ মেয়ে সুমি আক্তার ও উর্মী আক্তার অবিবাহিত।