সম্প্রতি বেশ কয়েকজন নারী গ্রেপ্তার হয়েছে র্যবের হাতে। তাদের বাড়ী থেকে উদ্ধার করেছে মদ আর নেশা জাতীয় নিষিদ্ধ সামগ্রি। সব ক’টি গ্রেপ্তারের নমুনা অভিন্ন এবং মদ পাওয়া গেছে সব বাড়ীতেই। গ্রেপ্তারের ব্যপারে মূখ খুললেও মদের বিষয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি। হেলেনা জাহাঙ্গীরের মেয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন তারা মদ্য পান করেন এবং তার ভাইয়ের মদ্য পানের লাইসেন্স রয়েছে। পরীমনি বা আরও দুইজন মডেল কন্যার বাড়ীতেও মদ এবং নেশার সামগ্রি পাওয়া গেছে। গনমাধ্যমে যে সমস্ত ফুটেজ প্রচারিত হয়েছে দেখা গেছে অশ্লিল নৃত্য সহ মদ্যপানের দৃশ্য। এসব রাতের আড্ডায় সমাজের নামীদামী ব্যক্তিরা আতিথ্য গ্রহন করেছেন। অর্থ বিলিয়েছেন দুহাতে। রাতের আনন্দ দিয়ে রাজকীয় জীবনযাপন করেছে সুন্দরীরা। এমন অনৈতিক আড্ডার কথা প্রায়ই শোনা যেত।গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য নেই ভাবা সঠিক নয়। এই সব অনৈতিকতার বিরুদ্ধে এত দিন অভিযান চলেনি কেন? যে সব মদের ছবি গনমাধ্যম কর্মীরা তুলেছে তা পান করার যোগ্যতাও সবার নেই। তাহলে শুধু পরীমনিরাই কেন গ্রেপ্তার হল। যাদের সংশ্লিষ্ঠতার কথা গোয়েন্দারা উদ্ধার করেছে উচিৎ হবে তাদেরও গ্রেপ্তার করা। নাহয় এই গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বৈকি! সব অবৈধ কর্মের পিছনেই একটি চক্র স্বক্রিয় থাকে। এই চক্র বলবান এবং বিত্ত্ববান। এদের হাত বহুদুর পর্যন্ত প্রসারিত। সোনা পাচারের মত এই অন্ধ জগতের যারা ডন তারা কখোনই ধরা পরেনা। আজ পরীমনি কাল অন্য কোন নামের চরিত্র আবিস্কার হবে।
সবচেয়ে বিপদজনক বিষয় হল রাজনীতিতে ঢুকে পরেছে চরিত্রহীন স্বার্থবাদী কুচক্র। নানা কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধ করে চলেছে চক্রটি। ধরা পরলেই বেড়িয়ে আসে ভয়ঙ্কর সব তথ্য। এই কুচক্রিদের কারনে দলের ভাবমুর্তি সহ বিনষ্ঠ হচ্ছে অর্জনও। দেশ আজ উন্নত হয়েছে। করোনায় বিশ্ববিপর্যয়ের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের মানূষ অনাহারে থাকেনি। কিন্তু একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র রাজনীতিতে ঢুকে সার্বিক রাজনৈতিক চরিত্রটি নষ্ট করে দিয়েছে। ক্রমেই মানুষের আস্থার জায়গাটি দুর্বল হতে চলেছে। দেশে এখন কোন রাজনীতি নেই রাজনৈতিক নেতা আছে বহু। রাজনীতির স্বার্থে সকলকে রাজনীতি শুদ্ধিকরনের পথেই হাটতে হবে। নাহয় বড় বেশী দেরি হয়ে যাবে। দেশ উন্নত হলেও দেশের মানুষের মানবিক অবক্ষয় ঘটেছে ব্যপক ভাবে। রাজনীতির একজন নগন্য কর্মী হয়ে নেতাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করি- চোখ কান খোলা রাখুন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।