আবার চৌদ্দ দিনের লক ডাউন শুরু হয়ে গেছে। অবস্থার উন্নতি না হলে এই চৌদ্দ দিনের সময় সীমা বাড়বে বোঝা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে আনতে ভিন্ন কোন উপায়ও নেই। এভাবেই বছর শেষ হবে মনে হয়। দেশের রাজনীতিও এখন লক ডাউনে আটকে গেছে। কারন পৃথিবী জুরেই করোনা এখন এক নম্বর সমস্যা। করোনাকে নিয়ন্ত্রন করা না গেলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বাংলাদেশ। সরকার সেই লক্ষ্যে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। যারা রাজনীতি করেন তারা গেল বছর এই করোনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন। নেতার যে সব বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য প্রমান হয়েছে। মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ভেকসিন নেয়নি অনেকে। মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ভেকসিন নিয়ে যারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন তারাই নিজেরা ভেকসিন নিয়ে ছবি পোষ্ট করেছেন। এখন নেতাদের নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। রাজনীতিতে অভিযোগ উত্থাপন করলে তা প্রমান করা জরুরী। বিরোধী দলের নেতারা করোনা নিয়ে যা যা বলেছেন তার একটি অভিযোগও সত্য প্রমানীত হয়নি। অসত্য বক্তব্য রাজনীতিতে গ্রহন যোগ্য নয়। সরকার হটাতে হুংকার দিয়েছেন বার বার। কিন্তু তারা নিজেরাও জানেন জনসমর্থন নেই তাদের। মাঠেও কর্মী নেই। বি এন পি ছাড়া মাহামুদুর রহমান মান্না সহ কিছু নেতা প্রতিদিন অভিযোগ করে চলেছেন। আসলে সরকারের সমর্থটি বোঝবার যোগ্যতাও তাদের নেই।
পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিন বঙ্গ যুক্ত হবে উন্নয়নে। দেশের চেহারাটাই বদলে যাবে তখন। মিথ্যা অভিযোগ করে জনগনের সমর্থন পাওয়া অসম্ভব হবে। নির্বাচনী প্রচারনা শুরু হয়ে যাবে ২০২২ সাল থেকেই। বিরোধী নেতারা নিজেদের দলটিও গুছাতে পারেনি। নেতাবিহীন দলের পক্ষে সমর্থন আদায় করা হবে দুরহ ব্যপার। এমন কোন ইস্যুও হাতে নেই যা নিয়ে রাস্তায় নামবে বিরোধী দল। এই দুর্যোগে মানুষের হয়ে কাজ করলে আর দল গুছাতে পারলে কিছুটা হলেও সমর্থন পেত। সরকার বিপর্যয় ঠেকাতে কোন ভুল করেনি। প্রসংশীত হয়েছে আন্তর্জাতিক ভাবেও। উন্নয়নের দৃশ্যটিও অবাক করেছে দেশবাসিকে। দুর্নীতির কথা বলে সরকার হটাও আন্দোলনের ডাক দিয়ে সুবিধা করতে পারবে মনে হয়না। জোটের সদস্যরাও এখন আর জোটভুক্ত নেই অনেকে। নেতৃত্ব কার হাতে সেটিও পরিস্কার নয়। এমন নেতৃত্বহীন দল বা জোট আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারিয়ে ক্ষমতায় চলে আসবে এমন ভাবনা অবাস্তব। ভোট কারচুপির অভিযোগও সত্য নয়। সত্যটি হল বি এন পি নির্বাচনকেই ভয় পায়। কু করে যারা ক্ষমতায় যায় তাদের পক্ষে গনতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়া সহজ নয়। এখন জনগনের চাওয়াটি হল ” শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাক”। কিন্তু জনগন আওয়ামী লীগেও পরিবর্তন চায়। যারা ক্ষমতায় গিয়ে অর্থ হাতিয়েছে, যারা এলাকাবাসির কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছে এবং যারা ত্যগী কর্মী বাহিনীকে উপেক্ষা করে অন্যদের সুবিধা দিয়েছে। তাদেরকে আর চায়না। এই শুদ্ধি অভিযানে অনেকের নামই উঠে এসেছে। সম্ভবত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি জানেন। আগামি নির্বাচনে সৎ এবং ত্যগী নেতারা সুযোগ দিলে বিপুল ভাবে বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগ। দেশের বেশীর ভাগ মানুষের প্রত্যাশাটিও তাই!
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।