মোঃ আমিন আহমেদ, সিলেট প্রতিনিধি: কানাইঘাটে এক বীমা নারীকর্মীকে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গতকাল রবিবার বিকাল ৩টার দিকে দুই সিএনজি (অট্রোরিক্সা) চালককে জনতার সহয়তায় আটক করা হয়েছে। পরে আটককৃত কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউপির বাখাইরপাড় গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র সিএনজি চালক দুদু মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র সিএনজি চালক বশর (২১) কে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার থেকে জনতার হাতে আটক অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে র্যাব-৯ গ্রেফতার করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত মেয়েটিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানার এসআই মোঃ সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন বিকেল ৩টার গাছবাড়ি এলাকায় তিনি ডিউটি করার সময় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক স্যার বলেন গাছবাড়ি-হরিপুর সড়কের গোয়ালজুর এলাকায় একটি মেয়েকে তার গন্তব্যস্থলে না নামিয়ে দুইজন সিএনজি চালক হরিপুরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঠে গিয়ে জানতে পারেন ধর্ষণের চেষ্টাকারী এ দুই সিএনজি চালকের হাত থেকে ইজ্জ্বত বাচাঁতে একটি মেয়ে সড়কের সেলফী ব্রিজের পাশে সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে রক্তাক্ত আহত হয়েছে।
এসময় হরিপুর থেকে আসা গাছবাড়ি বাজারের দিকে আসা এক সিএনজি চালকের কাছে আহত এ বীমা নারীকর্মী তার ঘটনাটি খুলে বললে এসিএনজি চালক ফোনের মাধ্যেমে হরিপুরের দিকে পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণের চেষ্টাকারী এ দুই জনকে আটক করার জন্য হরিপুর বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ডের চালকেদের জানান। পরে সিএনজি চালক সহ স্থানীয় লোকজন ধষর্ণের চেষ্টাকারী দুদু ও বশরকে আটক করে রাখেন। এমন সংবাদ পেয়ে হরিপুর বাজারে তিনি দ্রুত চলে যান।
এর পূর্বে কানাইঘাট থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে দ্রুত জৈন্তা থানার এসআই দিদার একদল পুলিশ নিয়ে হরিপুর বাজারে চলে আসেন। এসআই সাইদুল ইসলাম আরো বলেন কানাইঘাট থানা ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ধর্ষণের চেষ্টাকারী দুদু ও বশরকে র্যাব-৯ হরিপুর বাজার থেকে আটক অবস্থায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আটককৃত এ দুইজন বর্তমান র্যাবের হেফাজতে রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ঘটনার পূর্ব হতে র্যাব-৯ বাজারে অবস্থান করছিল। জানা যায় কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের গোয়ালজুর গ্রামের ইজ্জ্বত উল্লাহ ২০ বছর বয়সী মেয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কানাইঘাট গাছবাড়ি বাজার শাখায় মাঠকর্মী হিসাবে কর্মরত রয়েছে।
রবিবার বিকাল ২টার দিকে প্রতিদিনের মত অফিসের কাজ শেষ করে গাছবাড়ি বাজার থেকে নিজবাড়ি গোয়ালজুর গ্রামে যাওয়ার জন্য সিএনজি চালক দুদু মিয়ার গাড়িতে উঠেন। গাড়িতে তার সহযোগী অপর সিএনজি চালক বশরও ছিল। কিন্তু মেয়েটিকে তারা তার বাড়ির পাশে না নামিয়ে দ্রুত হরিপুরের দিকে চলতে থাকে। এসময় গাড়ির মধ্যে তারা মেয়েটির বিভিন্ন স্পর্সকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার করে। এতে মেয়েটি তাদের কবল থেকে ইজ্জ্বত রক্ষা করতে সেলফী ব্রীজ নামক স্থানে গিয়ে সিএনজি থেকে লাফ দিলে শরীরের মুখ সহ বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। আহত অবস্থায় মেয়েটিকে তার স্বজনরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
ওসি তদন্ত জাহিদুল হক জানান র্যাব-৯ গ্রেফতারকৃত দুইজনকে কানাইঘাট থানায় সোর্পদ করেনি। আহত মেয়েটিকে ওমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।