তিন দিনের ট্রেনযাত্রা শেষে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনামে পৌঁছেছেন; সেখানে তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক করবেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কিম জং-উনকে বহনকারী জলপাই রঙের ট্রেনটি ভিয়েতনামের ডং ডাং শহরের স্টেশনে পৌঁছে। পরে সেখান থেকে মার্সিডিজ বেঞ্চ গাড়িতে করে ১৭০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী হ্যানয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
লাল কার্পেটের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামে কিম জং-উনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। একটি ছবিতে দেখা যায়, কিম ট্রেন থেকে নেমে সুসজ্জিত বাহিনীর মধ্য দিয়ে সেই কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। যন্ত্রিরা বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন। পাশ থেকে শত শত মানুষ উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনামের পতাকা নেড়ে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা থমসন রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের ভেতর দিয়ে দুই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কিমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি ভিয়েতনামে পৌঁছেছে। কিম ট্রেনে করে তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিলেন। বিমান ভ্রমণে কিম পরিবারের অনীহা সুবিদিত। কিম জং-উনের বাবা কিম জং-ইলও ট্রেনে করেই ভ্রমণ করতেন।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন কিম। উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে আছেন তাঁর বোন কিম ইয়ো জং এবং তাঁর অন্যতম প্রধান আলোচক সাবেক জেনারেল কিম ইয়ং চোল।
এর আগে গত বছরের জুনে দুই নেতার মধ্যে সিঙ্গাপুরে প্রথম বৈঠক হয়েছিল। মৌখিকভাবে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে সম্মত হলেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। পিয়ংইয়ং অস্ত্র ধ্বংস করার আগে নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চায়। অন্যদিকে ওয়াশিংটন বলছে, পরমাণু অস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করার আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নয়।
এদিকে কিমের সঙ্গে বৈঠক করতে এয়ারফোর্স ওয়ানে করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দেশ ছেড়েছেন। বিমানে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স গণমাধ্যমকে বলেছেন, বুধবার সন্ধ্যায় দুই নেতা মুখোমুখি হবেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে দুজন অতিথি ও দুজন দোভাষী থাকবেন।
বৃহস্পতিবারও দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।