গত ৯ জুলাই করোনায় দুইশ একুশ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে। সংখ্যার দিক থেকে এই সংখ্যাটাই সর্বোচ্চ। সারা দেশে লক ডাউন চলছে কিন্তু মানূষের চলাচল বন্ধ হয়নি। অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করছেনা। নাক মূখ উম্মুক্ত রেখে কানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে মাস্কটি। ইতিমধ্যে গরুর হাটের ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে বহু জায়গায়। কয়েকটি জিলায় হাট বসেও গেছে। এই সব হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা অনেকেই। অবস্থাটি অব্যহত থাকলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে সন্দেহ নেই। সোশাল মিডিয়াতে অনেকে লক ডাউন নিয়ে বিদ্রুপ করছে। অনেকে প্রত্যাহার করারও দাবী জানিয়েছে। যুক্তি হিসাবে বলেছে উপার্জন ব্যহত হচ্ছে মানুষের। ঈদ উপলক্ষে সরকার এক কোটি মানুষের জন্য স্বল্প মূল্যে চাল বিতরনের ঘোষনা দিয়েছে। সুষ্ঠভাবে বিতরন হলে স্বল্প আয়ের মানূষের জীবন কিছুটা হলেও সহজ হবে। কিন্তু গরুর হাট সহ যেখানেই লোকসমাগম হচ্ছে সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরী। বিধিনিষেধ মেনে হাটে গেলে সংক্রমন রোধ করা সম্ভব হবে। নাহয় বড় ধরনের ঝুকির মূখে পরবে বাংলাদেশ। গরুর হাট বন্ধ করে দেওয়াই সমীচীন হত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মানবেনা। বিরোধীরাও ব্যঙ্গ করে মানূষদের ক্ষেপিয়ে তুলবে। তাই গরুর হাটে বিধি নিষেধ মান্য করার নীতিমালা জরুরী। এই সব নিয়মনীতি আগাম পৌছানো উচিৎ ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের কাছে। গরুর হাটের প্রবেশদারে পুলিশের উপস্থিতি প্রয়োজন মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিৎ করতে। কোরবানী জরুরী কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মানা আরও বেশী জরুরী। কেউ জানেনা কে করোনার ভাইরাস বহন করছে।
অন লাইনেও গরু বেচাকেন হচ্ছে এখন। ছবি দেখে ঘরে বসেই গরু কিনছে অনেকে। দেশের গরুর ফার্ম গুলি এখন যথেষ্ঠ আধুনিক। করোনা রোধে পদ্ধতিটি মন্দ নয়। তাছাড়া গুরু হাট পরিস্কার করতেও ব্যয় হয় অনেক টাকা। বিষয়টি মাথায় রেখে অন লাইনের বেচাকেনাই এখন নিরাপদ। প্রতি বছরই ঈদ উপলক্ষে প্রচুর ভারতীয় গরু প্রবেশ করে বাংলাদেশে। ভারতীয় ভাইরাস রোধে এবার গরু প্রবেশ করতে দেওয়া উচিৎ হবেনা। তাই সব ক’টি প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখা জরুরী। গরু চালানের চোরাই পথটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে বিপদ হবে। বর্ডার গার্ডের সদস্যরা সতর্ক হলে এই ঝুকি এড়ানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ প্রথম দিকে ভালভাবেই করোনা নিয়ন্ত্রন করেছিল। কিন্তু এবার অবস্থাটি ক্রমেই খাড়াপের দিকে যাচ্ছে। সরকার কঠোর হলেও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি। করোনা হলে এখন অন্যকে জানতেও দেয়না। এই গোপনিয়তা অন্যের বিপদ ডেকে আনছে। যদিও সরকার ক্রমশই কঠোর হচ্ছে এবং বিপদজনক এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু মানূষ বিধিনিষেধ না মানলে মৃতের সংখ্যা কমবেনা। তাই বিনীত ভাবে সকলের প্রতি নিবেদন রইলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ঘরে থাকুন সাময়ীক অসুবিধা হলেও।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।