করোনার কারনে দেশে এখন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী নেই। তবে রাজনীতি নিয়ে সঙ্কা অনুভব করছে সকলেই। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় নেতারাও এখন অভিযোগ করছেন অনুপ্রবেশ হচ্ছে দলে। কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন দল গঠনে। ত্যগী কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আগেই। কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেই শোনা যায় অসন্তুষ্টির কথা। শতভাগ নেতা কর্মীই জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর সন্তুষ্ট। কিন্তু দলের নেতাদের উপর ক্ষিপ্ত। মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা হতাশ হয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। ভিন্ন দলের লোকেরা পদ দখল করে নিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও একই তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। সরকারের বেশীর ভাগ কাজ পাচ্ছে বি এন পি’র লোকেরা। এই ভুল বি এন পি সরকারে থাকা কালীন করেনি। নিজ দলের লোকদেরকেই সুবিধা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বি এন পি’র লোকেদেরকে কাজ দিয়ে নিজেকে স্বচ্ছ প্রমানের চেষ্টা করছে। নিজ দলের কর্মী বাহিনী হতাশ। ত্যগী কর্মীবাহিনী ঘুড় ঘুড় করছে কাজের জন্য। জৈষ্ঠ নেতারাও মূখ খুলছেননা। উপজিলা পর্যায়েও সদ্য ঢোকা নেতারাই নিয়ন্ত্রন করছে রাজনীতি। অবৈধ উপার্জন করে বিত্ত্ববান হচ্ছে তারা। জেনে শুনেই অপকর্ম করছে দলে ভেরা নব্য নেতারা। সরকার কোন কারনে ব্যর্থ হলে এই নব্য নেতারাই প্রথম চেহারাটি বদল করবে। ত্যগী কর্মীরা আবার রাস্তায় নামবে দলের হয়ে। দলনেত্রী শেখ হাসিনা বার বার ত্যগী কর্মীদের মূল্যায়ন করার কথা বললেও কার্যকর হচ্ছেনা দলে। দল এবং সরকার এক নয়। কিন্তু দলকে নির্ভর করেই সরকার গঠিত হয়। দলের নেতৃত্বটি নেতাদের উপর ন্যস্ত থাকে। ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দলকে, দলের নেতা কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করছেনা। কর্মীরা নিরব হয়ে গেলে আগামী নির্বাচনেই ফলাফল ভিন্ন হবে। অনেক নেতাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হবে আওয়ামী লীগেরই বিরুদ্ধে। বিরোধী দল নেই, আওয়ামী লীগই হবে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন এখনো অনেক বাকী কিন্তু প্রচারনা চলছে নিজ নিজ এলাকায়। বি এন পি থেকে আসা নেতারাও এই প্রচারনায় সরব। এটিও বি এন পি’র কৌশল কিনা কে জানে। জনগন বর্তমান সরকারের উপর সন্তুষ্ট। শেখ হাসিনাকেই দেশের যোগ্য নেত্রী মনে করে। সরকার যে উন্নয়ন, সাফল্য দেখিয়েছে তা আর কোন নেতার পক্ষে সম্ভব হবেনা। সৎ নেতা হিসাবেও শেখ হাসিনাকেই মনে করে মানূষ। কিন্তু আওয়ামী লীগের এম পি, মন্ত্রী কিংবা নেতাদের উপর মানূষের আস্থাটি কমে গেছে। এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে নেতাদের উপর। শুধু এলাকাবাসীই নয়, দলের নেতা কর্মীরাও ক্ষুদ্ধ। এমন অবস্থাটি আওয়ামী লীগের জন্য সূখকর নয়। তাই ভয় হচ্ছে। কেন্দ্রিয় নেতাদের উচিৎ হবে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রিয় সভায় আলোচনা করা। মনে রাখতে হবে মাঠ কর্মীরাই দলের মূল চালিকা শক্তি।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।