গত ২৪ ঘন্টায় করোনা মোট পরীক্ষা ১৮৭ পজেটিভ ১০৩ জেলা সাতক্ষীরা। অর্থাৎ শনাক্তের হার ৫৫% এর উপরে।
সোমবার (৭ জুন) সাতক্ষীরা লকডাউনের তৃতীয় দিন। সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে সাধারন মানুষের চলাচলে পুলিশি বাঁধা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এক কথায় কঠোর লকডাউন।
সাতক্ষীরা জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) মহোদয় নিজের জীবনের পরোয়া না করে মানুষকে সচেতন করতে নিজেই মাঠে নেমে পড়েছেন। গত দুইদিন তিনি জেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে রোদ-বৃষ্টি উপপেক্ষা করে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সচেতন নাগরিকরা পুলিশ সুপারের ওই কর্মকান্ডে উৎসাহিত হয়েছে।
শহরের অবস্থা এমন কঠোর লকডাউন লক্ষ্যকরা গেলেও গ্রামের দৃশ্যপট আকেবারেই ভিন্ন। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। এটি প্রতিরোধ করতে না পারলে কোন অবস্থাতেই করোনা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
আজ সোমবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার পৌরসভার সব মোড়ে মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেট দেয়। শহরের প্রবেশদ্বারে মানুষের চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে। লকডাউন মানতে তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করছে।
বাইসাইকেল, মটরসাইকেল, ইজবাইক, ভ্যান, নছিমন, করিমন চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে তারা তাগিদ সৃষ্টি করছে পুলিশ। যার মুখে মাস্ক পরা নেই তাকে মাস্কও পরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের এ ধরনের ভূমিকা প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
তবে শহরের চিত্র এমনটি হলেও গ্রামের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানছে না। গ্রামের হাটবাজারে মাস্ক ছাড়াই অধিকাংশ মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
সাতক্ষীরা জেলার কৃতি সন্তান ভোরের পাতা গ্রুপ অপ ইন্ডাষ্ট্রিজ এর চেয়ারপার্সন, এফবিসিসিআই এর পরিচালক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সন্মানিত সদস্য এবং সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি বলেন, সাতক্ষীরায় করোনা প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, সাংবাদিক, সমাজসেবক সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সবোর্চ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে তৎপরতা শুধু শহর নয় সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নজরদারি জোরদার করতে হবে।