মোঃ মোশফিকুর ইসলাম,নীলফামারীঃ নীলফামারীর ডোমারে সিজারের সময় ওয়ার্ডবয় দিয়ে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার অভিযোগে প্রসূতির মৃত্যুর কারণে পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে তদন্ত করা হয়েছে। গত বুধবার (০২ জুন) দুপুর ১২ টা হতে আড়াই ঘন্টা ব্যপি ক্লিনিকটিতে তদন্ত করে তিন সদস্যের একটি দল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারীর দলের সভাপতি। দুই সদস্য হলেন, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. ওবায়দা নাজনীন মুক্তা, চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তদন্ত দলের সভাপতি ডা. রায়হান বারী জানান, গত শনিবার (২৯ মে) ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তপন কুমার রায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত করে। সিভিল সার্জনের গঠিত তদন্ত কমিটি আমরা বুধবার দুপুরে তদন্ত করলাম। তদন্তের ফলাফল সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকেই ফলাফল প্রকাশ ও পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে সন্ধ্যায় ডোমার পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পৌরসভা এলাকার মিলন ইসলামের স্ত্রী লিপি আক্তারকে (২০) সিজারের সময় ওয়ার্ডবয় জিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এতে সিজারের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে অপারেশন কক্ষেই লিপির মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। সিজারটি করেন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. ফারজানা আফরিন। ডা. ফারজানা আফরিনের বিরুদ্ধে নিজ কর্মস্থলে না থেকে পদ্মা ক্লিনিকেই বেশী সময় কাটানোর অভিযোগ রয়েছে। পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এর আগেও অপচিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে।