সাকিব আল হাসান, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চান উপজেলা আ,লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদ শাহনেওয়াজ তুহিন। অনুন্নত ও সুবিধা বঞ্চিত এ ইউনিয়নকে আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ এ জনপদে নৌকার মাঝি হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চান তিনি।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, নির্বাচনী মাঠে তিনি নতুন মুখ হলেও ইউনিয়নসহ উপজেলা পর্যায়ে আবিদ শাহনেওয়াজ তুহিন একজন পরিচিত মুখ। সদালোপী ও হাস্যজ্জল একজন চমৎকার মানুষ হিসেবে যে কোন অপরিচিত মানুষকে অতি অল্প সময়ে আপন করে নিতে পারেন।দীর্ঘদিন যাবৎ নি:স্বার্থভাবে তিনি মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।
এলাকার যে কোন মানুষ কোন বিপদ-আপদে পড়লে নিজ উদ্যোগে সেখানে ছুটে যান তিনি। মানুষের বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেন না-ছুটে যান বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে। সদাসর্বদা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করা, যুব সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা, মাদকমুক্ত ও ক্রীড়ামোদী করে গড়ে তোলার চেষ্টার পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অংশগ্রহণে সব সময় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। যে কারণে ইউনিয়নের সকল ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে জনদরদী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। জনগণের ইচ্ছা ও ভালবাসার প্রতিদান দিতে-জনপ্রতিনিধি হয়ে ইউনিয়নবাসির সেবা করা এবং তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে সর্বদা তাদের পাশে থাকর জন্য এবার এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান তিনি।
তিনি বিশ্বাস করেন শুধু ব্যক্তিগত সহযোগীতা দিয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। তাই বৃহৎ পরিসরে সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চান। যে কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন তিনি। এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে উক্ত ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য তার বিকল্প নাই। যে কারণে এ ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের বেশিরভাগ অংশই আবিদ শাহনেওয়াজ তুহিনের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করছেন। সেক্ষেত্রে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে রেকর্ড পরিমান ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে আবিদ শাহনেওয়াজ তুহিন বলেন, ‘স্কুলে লেখাপড়াকালিন সময় থেকে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন ভক্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেই থেকে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণের চাহিদা অনুয়ায়ী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এবারও আমি অংশ নিতে চাই। জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীক দিলে এবার আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো-এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। নির্বাচিত হলে উক্ত ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।’ এ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই, সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহযোগী হতে চাই। সে কারণে আমি বঙ্গবন্ধুর ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নৌকার মাঝি হয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।’