আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডাঃ দুদিন আগে আমি লিখেছিলাম আমেরিকার কুটনীতি কোথায়ও জয়ী হয়নি। স্বার্থের কারনে আমেরিকার নীতি বদল হতে সময় লাগেনা। কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইয়েলের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতি নিয়ে প্রশাসনেও গুঞ্জন উঠেছে। ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব নেতারা জাতীসংঘে যূদ্ধ বিরতির প্রস্তাব তুলেছিল। আমেরিকার ভেটোর কারনে তা বাতিল হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতকালে গতকাল প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্বাধীন ফিলিস্তানী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই দুই দেশের যূদ্ধ বিরতির সমাধান বলে দাবী করেছেন। গাজা পুনর্গঠনে আমেরিকা সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমেরিকা যদি সত্যিই তাদের মত পাল্টে থাকে তাহলে স্বাধীন প্যলেষ্টাইন প্রতিষ্ঠা করা সময়ের ব্যপার মাত্র। ইসরাইয়েল ইস্যুতে আমেরিকার নীতি বদল হয়না।
সব প্রেসিডেন্টই বিদায়কালে ইস্যুটি নিয়ে গুরত্বপুর্ন আলোচনা করেন। বাইডেন মেয়াদের শুরুতেই ইস্যুটি তুললেন কেন? বক্তব্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্য যদি সত্যি হয় তাহলে ভাবতে হবে কেন বদল হলো! করোনার কারনে বিশ্ব রাজনীতি এখন বদলে গেছে। প্যলেষ্টাইন ইস্যুতে চীন এবং রাশিয়া ক্ষুদ্ধ মনোভাব দেখিয়েছে। মুসলীম দেশেও এক ধরনের ঐক্য গড়ে উঠেছে। সিরিয়া, লেবানন যূদ্ধে নেমে গেছে। ইসরাইয়েলের ব্যপারে উত্তর কোরিয়া শক্ত বিবৃতি দিয়েছে। ইরান তুরষ্ক পাকিস্তান আর সি ডি পুনপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। সৌদি সরকার নমনীয় নীতি দেখালেও সে দেশের জনগন ফুসে উঠেছে। সব দেশ একত্রে প্রতিবাদ জানালে স্বার্থের কারনেই মার্কিন নীতি বদল হবে। আবার কুটচালও হতে পারে। মিষ্টি কথা বলে যূদ্ধ বিরতি করে কৃতত্ত্ব নিবে। ভেতরে ভেতরে সমর্থন যোগাবে ইসরাইয়েলকেই। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের গতকালের বিবৃতি কতটা সত্য তার প্রমান পেতে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে যদি এই যূদ্ধ বন্ধ করা না যায় তাহলে বিশ্ব রাজনীতি কোনদিকে মোড় নিবে অনুমান করা মুশকিল। মানবতা লংঘন করে ইসরাইয়েলের এই আগ্রাসন তুষের আগুন হয়ে উঠতে পারে। ক্রমেই ইসরাইয়েলের বিপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে উঠেছে। হামাসের হুশিয়ারী আর মাহামুদ আব্বাসের দাবী উড়িয়ে দেওয়া ভুল হবে।
৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যরা একই ভুল করেছিল। মাশুল দিয়েছে চরমভাবে। এখন পাকিস্তান স্বিকার করে ভুলটি তাদেরই ছিল। কিন্তু সময় গড়িয়ে গেছে বহুদুর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মডেল রাষ্ট্র আর পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র। অহংবোধ আর অস্রের হুঙ্কার পাকিস্তানকে পিছিয়ে দিয়েছে। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নীজেই এখন স্বীকার করে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। অস্ত্রের জোড়ে জনতার শক্তিকে অগাহ্য করা সঠিক হবেনা।