তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের শ্যামলী আবাসিক এলাকায় এক মোবাইল ব্যবসায়ীর বাসাসহ আরো দুটি বাসায় চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে চুরির ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারীতে একটি মামলা হয়,মামলা নং ৯। ঔই ঘটনার সময় ১৬ জন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা নেন। এরিয়া ধারাবাহিকতায় মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত ৭ আসামীর মধ্যে দুই আসামিকে রিমান্ডে আনা হয়েছে।
পুলিশের এসআই মুখলেছুর রহমান লস্কর বলেন,গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহারকরে চোর চক্রের সদস্যরা মামলার বাদী খালেদ আহমদসহ আরও কয়েকটি পরিবারে খাবারের সাথে কৌশলে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এতে ১৬ জন বিষাক্ত ঔষধে আহত হয়। পরে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করে সুস্থ করা হয় পরের দিন ৫ জানুয়ারি তারিখে খালেদা আহমদ বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায়।
উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,এর মধ্যে এক আসামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে অপর
দুই আসামির নাম স্বীকার করেন, পরে তাদের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।আসামিরা হলেন ইফতেখার আহমদ ফরহাদ(২৪) পিতা আব্দুস সালাম রাজা মিয়া,পূর্ব শ্রীমঙ্গল,শ্রীমঙ্গল জেলা মৌলভীবাজার অপর আসামী সাইফুর রহমান মান্না (২৩) পিতা আব্দুর রহমান সাং কালাছরা, থানা বিজয় নগর,জেলা বি-বাড়ীয়া।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মুখলেছুর রহমান লস্কর বলেন, বিজ্ঞ আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর প্রেক্ষিতে তাদের স্বীকারোক্তি মূলক গতকাল রোববার (১৬ মে ) বিকালে ঘটনাস্থলে, ঘটনা উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ সময় আটককৃতরা চুরির ঘটনা সংঘটিত করার বিস্তারিত বর্ণনা দেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক(কমলগঞ্জ -শ্রীমঙ্গল)
এছাড়া শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন,এসআই আলমগীর,এসআই আলামিন, এস আই প্রদীপ, এসআই জাকারিয়া, এস আই দুর্জয় সরকার, এসআই জাকির,এসআই তিথঙ্কর,এএসআই নজরুলসহ পুলিশের একটি দল।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) বলেন বয়সন্ধী বয়সী ছেলেরা এমন ঘৃনিত কাজ না করে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে কিন্তু তারা অপরাধটাকে সহজ কাজ মনে করে,আসলে তারা ভাবে না যে অপরাধ করে পার পাওয়া যায়না। আজ না হয় কাল ধরা পরতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে যদি আরও কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে আসস্ত করেন।