গুলশানে নিহত মুনিয়া হত্যার সাথে নাম জড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের এম ডি আনভির সোবাহানের। এতেই কিন জানিনা গনমাধ্যম নিরব হয়ে পরেছে। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সঠিক তদন্ত এবং বিচার হবে কিনা! ধনাঢ্য ব্যক্তিরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয় বাংলাদেশে। সাংসদ হাজী সেলিমের পুত্র জামিন পেয়ে গেছে। জেল থেকে বেড় হতেই ফুলের মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছে ভক্তরা। টাকার কাছে নিরব হয়ে যায় প্রশাসনের কর্ত্তাব্যক্তিরা। পুলিশও এর বাইরে নয়। সোবাহান পরিবারের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যাকান্ডের খবর বেড়িয়েছিল। এত বছর পর এখন গনমাধ্যম খবর দিল ২১ কোটি টাকার বিনিময়ে তা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নীজেই ঘুষ নিয়েছেন। বেকসুর খালাস পেয়ে আসামীরা ভাল মানুষ হয়েগেছে।
বিত্ত্ববান ব্যক্তিদের এমন ক্ষমতা দেশের আইন এবং প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বৈকি! মুনিয়ার মৃত্যুর রহস্য সে পথেই যাচ্ছে কিনা কে জানে! তবে গনমাধ্যম সংবাদ দিয়েছে কথিত প্রেমিক আনভির সোবাহান দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবারও দুবাইতে চলে গেছে বলে সংবাদ বেড়িয়েছে। যার বিরুদ্ধে দেশ ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সে বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশে যায় কিভাবে? সেখানেওকি অর্থ বিনিময় হয়েছে? কয়েকটি ডাইরি পুলিশ জব্দ করেছে। সেই ডাইরিতে কি আছে পুলিশ তা প্রকাশ করেনি এখনো। এক সপ্তাহ পার হলেও মৃতের সুরত হাল বা আর কোন তথ্য পুলিশ প্রকাশ করেনি। এই জন্যই মানূষের মনে সন্দেহ দানা বেধেছে। কথায় আছে, “Justice delayed justice denied”। মুনিয়া হত্যা রহস্য সেই দিকেই যাচ্ছে কিনা কে জানে! সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকের সংগেই বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ত্তাব্যক্তিদের সখ্যাতের খবর ছাপা হয়েছে। মুনিয়া হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত না হলে জনমনে এই সখ্যতা নিয়েও সন্দেহ করবে ( ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে)। এর প্রভাব রাজনৈতিক ভাবেও প্রতিফলিত হতে পারে।
বর্তমান সরকার দেশে অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছে। জনগন সরকারের সাফল্যে তুষ্ট। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবী ছিল বহুদিন ধরেই। তা নিশ্চিত করতে পারলে সরকারের গ্রহনযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পাবে। হেফাজতের নেতাদের গ্রেপ্তারের পর অনেক না জানা তথ্য বেড়িয়ে আসছে। মামুনুল হক নাকি প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন আর বাবুনগরী রাষ্ট্রপতি। মুনিয়া হত্যায় জড়িত আসামীরা গ্রেপ্তার হলেও অনেক রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে সন্দেহ বেড়েই চলেছে। যে যত ক্ষমতাশালীই হউক দেশের আইন সবার জন্য সমান এ কথা জনগনকে বোঝাতে হবে। না হয় অপরাধ এবং অপরাধী প্রশ্রয় পাবে যা কোনভাবেই কাম্য নয়। মুনিয়া হত্যার বিচার নিয়ে জনমনে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তা সরকারই পারে নিশ্চিত করতে। প্রত্যাশা রইলো আইন তার নিজস্ব্ পথেই এগুবে এবং টাকার কাছে অন্যায় প্রশ্রয় পাবেনা।