মো:মোশফিকুর ইসলাম, নীলফামারীঃ নীলফামারীর ডোমারে হত্যার ৪র্থ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর মাদক সম্রাট মিজানুর রহমান হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ডোমার থানা পুলিশ। মাদক বিক্রয়ের টাকা ভাগ বাটোরা ও খাওয়াকে কেন্দ্র করে উক্ত হত্যাকান্ড ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।
মিজানুর রহমান পৌরসভা কাজিপাড়া এলাকার মৃত রেয়াজুল ইসলাম ভাদুর ছেলে।
পুলিশ মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে রবিবার(২৫ এপ্রিল) বিকালে আব্দুস ছালাম ওরফে পিনকোড বাবুকে তার বাড়ী থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবু এক সময় মিজানুর রহমানকে হত্যার কথাটি স্বীকার করে। পরে ১৬৪ ধারায় আদালতের কাছে স্বীকার উক্তি মুলক জবানবন্দি দেয় সে। আব্দুস ছালাম ওরফে পিনকোড বাবু ডোমার পৌরসভা কাজিপাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলাম ছানুর ছেলে।
ডোমার থানা মামলা সূত্রে জানাযায়, ২১ এপ্রিল বুধবার দুপুর দেড়টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মধ্যে যে কোন সময়ে নিজ বাড়ীতে খুন হন মাদক সম্রাট মিজানুর রহমান। ২২এপ্রিল (বৃহষ্পতিবার) মৃত মিজানুর রহমানের মেয়ে মেঘলা মনি বাদী হয়ে আবু তালেব নামীয় একজন ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই আবু তালেবকে তার বাড়ী হতে গ্রেফতার করে।
আবু তালেব ডোমার ছোটরাউতা গোডাউন পাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে।
ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান,পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পালের নির্দেশনায় পুলিশের একটি চৌকস দল হত্যাকান্ডের পর থেকে ৪র্থ দিনের মধ্যে নিরলস ভাবে তদন্ত করে এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেন। সোমবার বিকালে আব্দুস ছালাম ওরফে পিনকোড বাবু’কে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি