অসুস্থতার অসহায়তা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ছোটে মানুষ। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়াসহ নানা অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের। তাদের অভিযোগ, ভাল ব্যবহার করেন না চিকিৎসকরা, রোগের বিবরণ না শুনেই লিখে দেন ব্যবস্থাপত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে বহিঃবিভাগে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার থাকা বাধ্যতামূলক করাসহ দরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ। গ্রাম থেকে শহরে আসার ক্ষেত্রে চিকিৎসায় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শও তাদের। কথায় বলে, চিকিৎসকের ভাল ব্যবহারেই অর্ধেক রোগ সেরে যায়। ওষুধের চেয়েও অধিক কার্যকর চিকিৎসকের মানসিক সমর্থন। কিন্তু হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের নানা অভিযোগ খোদ চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের আচরণ নিয়ে। আগতরা বলছেন, রোগের বিবরণ না শুনেই কোন রকমে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে বিদায় করার প্রবণতা চিকিৎসকদের মধ্যে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে চিকিৎসকরা এক জন রোগী রোগীকে গড়ে সময় দেন ৪৮ সেকেন্ড। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, দেশে সরকারি নানা ধরণের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৬ হাজার রোগীর বিপরীতে চিকিৎসক আছে ১ জন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতত রোগী চাপ কমাতে বহিঃবিভাগে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। চালু করতে হবে গ্রাম-মফস্বল থেকে রোগীদের শহরে আসার বিষয়কে রেফারেল পদ্ধতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এ.বি.এম. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রোগীদের কাউন্সিলিং বিষয়টা আসলেই অনুপস্তিত। কারিকুলামে এটা আনতে হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে আর একটু যত্নবান হতেই হবে।’ সকাল থেকে সরকারি হাসপাতালে যে রোগী চাপ তার বেশিরভাগই সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। তাদের অভিযোগ, নাম মাত্র মূল্যে হওয়ায় মানসম্মত সেবা পাচ্ছেন না তারা। নেই পর্যাপ্ত তদারকি। দীর্ঘমেয়াদে এসব সমস্যা সমাধানে চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।