মোঃ আমিন আহমেদ, সিলেটঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সুলেমানপুর গ্রামে ৩৫ করছ গাছ কাটার অভিযোগে মামলা নেয় নি বনবিভাগ। সংবাদ প্রকাশ করায় গাছ কাটায় অভিযুক্ত সুলেমানপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামান আলম ও বশির মিয়া ক্ষেপে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক তানভীর আহমেদের পিতা দিলোয়ার হোসেন কে গাছ কাটার মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে দিচ্ছে হুমকিও।
বৃহস্পতিবার ২২ই এপ্রিল বনবিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের সাথে সাংবাদিক তানভীর আহমেদ ফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন যে, গাছ কাটায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ মেম্বারের সাথে সাংবাদিক তানভীরের পিতাও ছিলো বলে অভিযোগ করছে গাছ কাটার অভিযুক্তরা। সাংবাদিক তানভীর আহমেদ জাতীয় দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার তাহিরপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সুলেমানপুর (বড়বাড়ি) গ্রামের মোঃ দিলোয়ার হোসেনের প্রথম পুত্র।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সুলেমানপুর গ্রাম সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে ৩৫ টি করছ গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সুলেমানপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামান আলম ও বশির মিয়ার বিরোদ্ধে। গত বুধবার ১৪ই এপ্রিল ২০২১ইং সকাল ১০ ঘটিকায় কবরস্থানের পাশের করছ গাছ গুলো আক্তারুজ্জামান আলমের নির্দেশনায় বশির মিয়ার পরিচালনাধীন গাছ গুলো কাটা হয়। বন বিভাগ কে না বলেই ক্ষমতার বলে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গাছ গুলো কেটে ফেলা হয়। পরে স্থানীয়রা বনবিভাগের কর্মকর্তা কে বিষয়টি জানায়। পরে বনবিভাগের কর্মকর্তা সরেজমিন এসে গাছ গুলো স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে যান। জিম্মায় রাখার পর স্থানীয়দের কাছে বলরছেন পরিবেশের আইনে তাদের বিরোদ্ধে মামলা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয় কয়েকজন জানান বর্তমানে বিষয়টি দামা ছাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এবিষয়ে উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান,এটা রেকর্ড করে নিয়ে আসছি এটা মামলা হয়ে যাবে। গাছ কাটা পরিবেশের আইনে অপরাধ, এটা পরিবেশের আইনে মামলা হবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক তানভীর আহমেদের সাথে কথা বললে জানায়, আমি পহেলা বৈশাখ কবরস্থানের পাশ দিয়ে সুলেমানপুর বাজারে যাচ্ছি এমতাবস্থায় দেখি বশির মিয়ার নেতৃত্বে কবরস্থানের গাছ গুলো কাটা হচ্ছে। পরে আমি উপজেলার বনবিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন কে জানাই। পরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।স্থানীয় অদুদ মিয়ার সাক্ষী ও ইউপি সদস্যের জিম্মায় গাছ গুলো রেখে জান। এখন ঘটনার ৭দিন পার হলে বনবিভাগের কর্মকর্তা কে ফোন করলে তিনি বলেন যে অভিযুক্তরা অভিযোগ করতেছে আমার পিতাও গাছ কাটার সাথে জড়িত। কিন্তু এ গাছ কাটার বিষয়ে আমি, আমার পিতা বা আমার পরিবার জড়িত নয়। সংবাদ প্রকাশ করায় আমার পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি আইনের সুদৃষ্টি কামনা করি। কিন্তুু উক্ত ঘটনার সাত দিন পেড়িয়ে গেলেও অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান আলম ও বশির মিয়া নামে মামলা নেয়নি বনবিভাগ।