বিগত দশ বছরে বাংলাদেশে জাপানী কোম্পানির সংখ্যা দশগুন বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২৬৯টি জাপানী প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে “জাপানী অংশীদারিত্বদের সাথে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে করপোরেট সুশাসন বিষয়ক” এক সেমিনারে এসব তথ্য প্রকাশ পায়।
বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন (আইএফসি) এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বিনিয়োগকারীদের সমস্যা ও করপোরেট সুশাসন বিষয়ক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে জাপানী চেম্বার প্রতিনিধি, বিনিয়োগকারীরা, নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ বক্তব্য রাখেন।
আইএফসি করপোরেট গর্ভনেস অফিসার লোপা রহমান স্বাগত ও জাপান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন তাকাশি ইতো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন।
তাকাশি ইতো বলেন, জাপান বাংলাদেশে বড় দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগকারী হিসাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আর্থ-সাাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিন দিন উন্নয়ণ করেছে।
তিনি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬৯টি জাপানী প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। জাপানি কোম্পানির সংখ্যা বিগত ১০ বছরে ১০ গুন বেড়েছে।” আরো বেশি জাপানী বিনিয়োগ বাড়াতে এদেশের করপোরেট সুশাসন ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি।
আইএফসি কর্মকর্তা লোপা রহমান বলেন, “বিনিয়োগের জন্য করপোরেট সুশাসন বাড়াতে ও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইএফসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের সেমিনারের আয়োজন করে থাকে।” তিনি বলেন, “পরিবারভিত্তিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট সুশাসন উন্নয়ণে ও আরো বিনিয়োগে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে আইএফসি কাজ করে যাচ্ছে।”
আইএফসি কর্মকর্তা সানা আবুজায়েদ ও জাপান বাংলাদেশ চেম্বার কর্মকর্তা তারেক রাফি ভুইয়া যৌথভাবে “বাংলাদেশের পারিবারিক ব্যবসা উন্নয়নে করপোরেট সুশাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শীর্ষক” এবং “বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের প্রেক্ষিতে করপোরেট ব্যবসার সুশাসন পরিচালনা শীর্ষক” প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন।
প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের সরকারী, বেসরকারি ও জাপান বাংলাদেশ চেম্বার এর প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
সূত্র : বাসস