আজ ১৪ এপ্রিল বুধবার পহেলা বৈশাখ। ১৪২৮ সনের প্রথম দিন। শুরু হলো একটি নতুন বছর।এসেছে পহেলা বৈশাখ করোনা ভাইরাসের মহামারির এই দুর্যোগে। গত বছরের মতো এবারও দেশজুড়ে বৈশাখ বরণে মেতে উঠবে না জাতি। এবারের বৈশাখ নিজেকে ঘরে আবদ্ধ রেখে আর সবাইকে সুস্থ রাখার কথা উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে। নতুন বছর নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এবারের বৈশাখ নিশ্চয়ই বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণের কারণে যে ‘রুদ্ধবাস’ চলছে তা থেকে মুক্ত করে নতুন দিন নিয়ে আসার প্রেরণা দেবে।
নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো … মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ সবার মনে পহেলা বৈশাখের সেই চিরায়ত গান গুঞ্জরিত হলেও এবারে তার আবেদন ভিন্ন। এবার তা হচ্ছে না। ভোরে সূর্যের আলো ফোটার সময় থেকেই রমনা বটমূল প্রাঙ্গণ জনশূন্য। শাহবাগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের প্রতিটি উৎসব কেন্দ্র জনমানবহীন। এমন অনাড়ম্বর পহেলা বৈশাখ গত বছরের পর ২বার হচ্ছে। ছায়ানট বর্ষবরণ শুরু হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল ছাড়া নিয়মিতভাবেই রমনার বটমূলে বর্ষ আবাহনের ডাক দিয়ে অনুষ্ঠান করে এসেছে। গতবারের মতো এবারও তা হচ্ছে না। কারণ, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এখন চলছে করোনার ২য় ঢেউ। মানুষের পৃথিবীতে এখন চলছে এক অনিশ্চিত সময়।
এবার তাই কোনো রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হবে। ঐতিহ্যবাহী রমণার বটমূলে হচ্ছে না ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে সরকারি এবং বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতারে নববর্ষের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন জানান, প্রতি বছরই আমরা পোস্টার করি। এবারও করব। তবে সেটা প্রতিপাদ্যের ব্যাখ্যাসহ। প্রতিবার প্রতিপাদ্যটি আমরা নানা মোটিফের মাধ্যমে তুলে ধরি। এবার সেটি হবে না বলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার শুরু মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তন করা হয় নতুন এই বাংলা সন।