ডিবিএন ডেস্কঃ হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে মোহাম্মদপুর মাদ্রাসা থেকে বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত ১২ টার পর ডিবি পুলিশ আটক করেছে বলে খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয় নি। তবে মোহাম্মদপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে এখন বর্তমানে ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে বলে সুত্রে জানা গেছে। তবে এর সত্যতা সম্পর্কে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তিলোত্তমা সিকদার তার ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে মামুনুল হককে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান। তবে সেই স্ট্যাটাসটি তিনি আবার ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন।
এছাড়াও মামুনুল হককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে অনেক রাজনীতিবিদ ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা তাদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তবে পরে অনেকেই সেই স্ট্যাটাস আবার সরিয়ে নেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের এর একটি রিসোর্টে নারি সহ তাকে আটক করা হলেও পরবর্তিতে হোটেলে ভাঙ্গচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাদ্রাসা ছাত্ররা।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে দেশে সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৫টি মামলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার জন্য হেফাজতকে দায়ী করা হলেও মামলাগুলোতে সংগঠনটির নেতাদের নাম দেওয়া হয়নি।
তবে গত ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় ৫ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন। সুত্রঃ সময় টিভি।