বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক ও সুপারভাইজারসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৯ মার্চ) দিনগত রাত ২টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কারফিখাল এলাকার রাজার মিয়ার ছেলে বাসের চালক রওশন হাবিব (৩৫) ও সুপারভাইজার মাসুদ মিয়া (২৭) ছাড়া বাকি হতাহতদের তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রতন হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের ওই স্থানে পৌঁছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা বগুড়াগামী দৃষ্টি পরিবহণের একটি বাসের (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-৬১৪৪) চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দৃষ্টি পরিবহণের চালক হাবিব ও সুপারভাইজার মাসুদ নিহত এবং দুই বাসের ১০-১২ জন আহত হন।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১০ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দুজন হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মারা যান বলে জানান এই স্টেশন কর্মকর্তা।এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়ের উভয়পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের দশমাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আলম আনাম বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহতদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর যান চলাচল বন্ধ থাকলেও কিছু সময় পরই তাদের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয়। বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।