ডিবিএন ডেস্কঃ আসন্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত কোনো ধরণের কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার নতুন প্রধান মনিরুল ইসলাম। তবে এরপরও কোনো দল যদি মিছিল-মিটিং করে তাহলে পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করবে এবং শক্তভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান নবনিযুক্ত এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে সামনে রেখে যারা মোদিবিরোধী মিছিল-মিটিং করছে কিংবা করবে তাদেরকেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত এই কমিশনার। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বিদেশি অতিথিদের অসম্মানের কর্মসূচি দিলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। এর ফলে অধিকাংশ সড়কগুলোতে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আসন্ন উৎসবে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ উপলক্ষে অনেক সড়কে চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন হবে। রাষ্ট্রের সম্মানের কথা চিন্তা করে জনগণের এইটুকু স্যাক্রিফাইস করতে হবে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস-আদালত কিংবা পরীক্ষার জন্য আগে বের হওয়ার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, ১৭ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে সাপ্তাহিক ও সরকারি মিলিয়ে ৪ দিন ছুটি রয়েছে। এ সময়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সড়কে চলাচলে ভোগান্তি যতটা সম্ভব কমানোর।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পাঁচটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেবেন।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার জানিয়েছেন, মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ ভিন্ন ভিন্ন তারিখে বাংলাদেশে আসবেন এবং তারপর দেশে ফিরে যাবেন। আর নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।