আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলের কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত বরখেলাপ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে বহিষ্কার করা হবে।বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনসহ অন্য নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করা হতাশাজনক। এ দেশে মিডনাইট নির্বাচনের প্রধান কারিগর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি মিডনাইট নির্বাচনের যে নজির সৃষ্টি করেছেন, তারপরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করবে -তা তিনি কী করে আশা করতে পারেন?তিনি বলেন, সিইসি বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল। উপজেলা নির্বাচনও যে তাহলে কেমন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে -তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। এ নির্বাচনও আগের রাতেই অনুষ্ঠিত হবে -এতে কোনো সন্দেহ নেই।রিজভী বলেন, আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ। কোথাও কোনো সাড়াশব্দ নেই, মানুষ নীরব উৎসাহহীন। গণতন্ত্রের কবর হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর রাতেই।বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল -প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মিডনাইট ভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণরূপে গণবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এখন আতঙ্কে ভুগছেন। ভোট ডাকাতি নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যাতে না ঘটে তা বন্ধ করার জন্য সরকারি যন্ত্রকে যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বলেই সরকার বিরোধী দলকে সমাবেশ করতে বাধা দিচ্ছে।